Posts

Showing posts from May, 2020

অ্যামাজন থেকে কঙ্গো বদলে যাচ্ছে জঙ্গল

Image
পৃথিবী জুড়ে জঙ্গলের চেহারা বদলে যাচ্ছে। তা সে দক্ষিণ আমেরিকার অ্যামাজনের অরণ্য হোক বা কঙ্গোর জঙ্গল। বিশ্বব্যাপী এক গবেষণা শেষে দেখা গেছে যে, জঙ্গলে গাছেদের উচ্চতা কমে যাচ্ছে। আবার অনেক বয়স্ক গাছ মারা যাচ্ছে অকালে। আর এ সবই ঘটছে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে।   মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘প্যাসিফিক নর্থওয়েস্ট ন্যাশনাল ল্যাবরেটারি’ এই গবেষণাটি করেছে। ‘সায়েন্স’ জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে তাঁদের গবেষণা পত্র। গবেষকরা বলছেন, আবহাওয়ার উষ্ণতা আর বাতাসে কার্বন ডাইঅক্সাইডের মাত্রা দিন দিন বাড়তে থাকায়, গাছেদের ওপর চাপ সৃষ্টি হচ্ছে। সেই সঙ্গে দাবানল, খরা, ঘন ঘন ঝড় ও অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে পৃথিবীর অরণ্যগুলিতে চোখে পড়ার মতো পরিবর্তন লক্ষ করা যাচ্ছে।   বাতাসে কার্বন ডাইঅক্সাইডের পরিমাণ বাড়লে তা গাছেদের বৃদ্ধির পক্ষে সহায়ক হয় বলেই ধরে নেওয়া হয়। কিন্ত এ ক্ষেত্রে গবেষকরা বলছেন, ওই সুফল ভোগ করে প্রধানত নতুন অরণ্যের গাছেরা। পুরনো বনের প্রাচীন গাছেরা ততটা লাভবান হয় না।   গবেষকদের আশঙ্কা আগামী দিনে, জঙ্গলের চেহারা আরও বদলে যাবে, আর সেই সঙ্গে তাদের চরিত্রও। মনে করা হচ্ছে, মানুষ সমেত সমস্ত প্রাণী জগতের

আম্পান - শোনা যাচ্ছে কি গাছেদের আর্তনাদ

Image
আম্পান চলে গেছে, রেখে গেছে গাছেদের শব। না, ঠিক শব নয়। আহত গাছ সব পড়ে আছে রাস্তায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে। নিথর দেহ, অথচ তিরতির করে কাঁপছে তার সজীব পাতা। কেউ কেউ দাঁড়িয়ে আছে। তাদের দেখে মনে হচ্ছে, ডাল-পালা যেন শরীর থেকে ছিঁড়ে নিয়ে গেছে হিংস্র হাওয়া। আম্পান চলে যাওয়ার পর, পড়ে যাওয়া গাছেরা এখনও বেঁচে আছে। তারা কি আর্তনাদ করছে? ক্ষত বিক্ষত শরীর নিয়ে তারা কি বলছে, আমাদের জল দাও। মাটি দাও। দাঁড় করিয়ে দাও। আবার আমরা বেঁচে উঠতে পারি। কিন্তু তাদের আর্তি শুনতে পা্চ্ছি না আমরা। তা্ই মৃত্যু তাদের অবশ্যম্ভাবী। কলকাতা পূর এলাকাতেই নাকি এ ভাবে এক এক করে মরে যেতে বসেছে ৫০০০ আহত গাছ।   গাছেদের যে প্রাণ আছে, তা তো জগদীশ চন্দ্র বোস (ছবি)প্রমাণ করে দিয়ে ছিলেন গত শতাব্দীতেই। সেই বিশ্ববরেণ্য বিজ্ঞানী আরও বলে ছিলেন, আমদের মতই গাছেদের খিদে পায়। তাদের ব্যাথা লাগে। কথাও বলে তারা। সেই ভাষা আমদের বুঝতে শিখতে হয়।   জগদীশ চন্দ্র গাছেদের সম্পর্কে যা বলেছিলেন, সে বিষয়ে ইদানীং গবেষণা আরও এগিয়েছে। বিজ্ঞানীরা নানান প্রশ্ন করেছেন নিজেদের আর উত্তর খুঁজেছেন তার। গাছ থেকে ফুলটা ছিঁড়ে নেওয়ায় কি গাছটার লা

ইটি-র সঙ্গে কথা

Image
অনেক দিন ধরেই তাদের খোঁজ চলেছে। এই মহাবিশ্বে আর কেউ আছে কিনা সেটা জানতে কিছু বিজ্ঞানী সেই ১৯২৪ সাল থেকে লেগে আছেন। তারপর ১৯৮৪ সালে তো স্হাপিত হয় সেটি ইনস্টিটিউট বা SETI নামক এক সংস্হা, যেখানে গ্রহগ্রহান্তরের সম্ভাব্য প্রাণীদের খোঁজ চলছে পুরোদমে। এই বিপুল ব্রহ্মান্ডে মানুষ একা থাকতে চায় না। তাই সে জানতে চাইছে কোনও এক দূর গ্রহে তার কোনও সঙ্গী সাথি আছে কিনা।   থাকতেই তো পারে। এখনও তাদের সন্ধান মেলেনি মানে তো এই নয় যে, কোনও দিন মিলবে না। সময়ের বিচারে বলতে গেলে এ কাজে তো এক পলকেরও কম সময় ব্যয় হয়নি এখনও।     কিন্তু এরই মধ্যে একটা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। আর প্রশ্নটা মোটেই অমূলক নয়। চিন্তাটা হল এই যে, বহির্বিশ্বের বুদ্ধিধর প্রাণীদের সন্ধান যদি কোনও দিন পাওয়াও যায়, তাদের সঙ্গে আমরা কথাটা বলব কোন ভাষায়? ইংরেজি, ফরাসি, জাপানি, চিনা, বা আমাদের ‘আ মরি’ বাংলা ভাষা যদি তাদের কাছে হিং টিং ছট-এর মতো শোনায় তাহলে তো পড়তে হবে মহা সমস্যায়। কিসের কি মানে করে বসবে তারা কে বলতে পারে। ‘এস বস আহারে’ - শুনেও হয়তো বা তেলে-বেগুনে জ্বলে উঠল!   তবে ধরা যাক, বোঝার মতো ভাষা একটা পাওয়া গেল।

ভবিষ্যৎবাণী তো মিলে যাচ্ছে

Image
সাধারণ মানুষ ভবিষ্যৎদ্রষ্টা নন। আজ থেকে পাঁচ, দশ, পঞ্চাশ বা একশ বছর পরে কি হবে তা জানার উপায় আমাদের নেই। আবার যাঁরা অসাধরণ, যাঁরা দেশ চালান এবং নিজেদের দূরদর্শী বলে মনে করেন, অদূর ভবিষ্যতের ছবিটাও তাঁদের কাছে স্পষ্ট নয়। দেখা গেছে, একমাত্র বিজ্ঞানীরাই আগামী দিনে কী থেকে কী হতে পারে, তার একটা বাস্তব-নির্ভর আভাস দিতে পারেন আজকাল। কিন্তু তাঁদের কথা শোনার লোক কম।   আর শোনার লোক কম বলেই একটা অশরীরি ভাইরাসের হানাদারিতে হতভম্ব মানুষ সব কাজ ফেলে আজ বাড়িতে বসে আছে। অথচ কিছু মানুষের আচরণের ফলে পশু-পাখি থেকে যে মোক্ষম সব ভাইরাস মানুষের মধ্যে ছড়াবে, সেই পূর্বাভাস বিজ্ঞানীরা শুনিয়েছিলেন প্রায় ৪০ বছর আগে। গত কয়েক বছরে, তাঁদের কথা অক্ষরে অক্ষরে মিলে গেছে। (পড়ুন আগের লেখা  জেনেছি, কিন্তু শুনিনি )     দূরত্ব যাতে বজায় থাকে তার জন্য প্রকৃতি লক্ষণরেখা এঁকে দিয়ে ছিল। বন্যরা থাকবে বনে। মানুষ থাকবে তাদের থেকে দূরে। দুয়ের মধ্যে দেখা-সাক্ষাৎ হবে যতটা সম্ভব কম। সে ভাবেই প্রকৃতি সাজিয়ে ছিল পৃথিবীকে। আর তাদের খাওয়ার উদ্দেশ্যে খামার গড়ে, কৃত্রিম প্রজননের সাহায্যে প্রাণীদের সংখ্যা বাড়িয়ে, এক অস্বাভাবি

চিবিয়ে খাওয়া সহজ হল

Image
আমরা যাইই খাই না কেন, কখনও কি খেয়াল করি যে খাবার আমরা চিবিয়ে খাচ্ছি? এক সময় এক কম্পানি তার আইসক্রিমের সম্পর্কে বিজ্ঞাপনে বলত “মুখে দিলে গলে যায় আহারে কী পুষ্টি”! তবে, সব খাবারই যে মুখে দিলে গলে যায় এমন নয়। অনেক কিছুই আছে যা আমাদের বেশ জোরের সঙ্গে চেবাতে হয় - যেমন আখ। কিন্তু সে ক্ষেত্রেও, চেবাতে চেবাতে চোয়াল খুলে যাওয়ার উপক্রম হয় না। কিন্তু আমাদের নিকট আত্মীয় শিম্পাঞ্জি বা আমাদের সুদূরের পূর্বপুরুষরা দিনের অনেকটা সময় খাবার চেবাতে ব্যয় করে থাকে বা করত। আর শুধু কি তাই, খাবার চিবিয়ে তা গলাধকরণ করার অবস্হায় আনতে কসরত করতে হত খুবই। তবে বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, আজ থেকে প্রায় ২০, ৩০ লক্ষ বছর আগে আমাদের পূর্বপুরুষ ‘হোমো ইরেক্টাস’-দের দাঁত ছোট হয়ে যেতে থাকে আবার তাদের মস্তিষ্ক আকারে হতে থাকে বড়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হারভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা বলছেন এ থেকে বোঝা যায়, সে সময় এমন কিছু ঘটেছিল যার ফলে বড় বড় প্রায় হামানদিস্তার মতো দাঁতের প্রয়োজন কমে এসেছিল। আবার অপর দিকে বাড়ছিল তাদের মস্তিষ্কের আয়তন, যা প্রমাণ করে যে শরীরে পুষ্টি যাচ্ছিল ভাল মাত্রায়। ছোট দাঁত, অথচ বেশি পুষ্টি -

মানুষ কেন কাঁদে?

Image
মানুষ কেন কাঁদে? মানুষই সম্ভবত এক মাত্র প্রাণী যে কাঁদলে চোখের জল পড়ে। অন্য কোনও প্রাণী এমন করে কাঁদে বলে এখনও জানা যায়নি। আবার এমনও অনেক ব্যক্তি আছেন যাঁরা কাঁদেন না। বলা ভাল, কাঁদতে পারেন না। গভীর শোকে দুঃখেও কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন না তাঁরা। চোখের জল পড়ে না তাঁদের।    কান্না সংক্রান্ত গবেষণায় এক বিখ্যাত নাম বিজ্ঞানী মাইকেল ট্রিম্বল। উনি বলেছেন মানুষ কেন কাঁদে এ ব্যাপারে বিজ্ঞানীদের মধ্য মতের মিল নেই। আর কিছু মানুষ কেন কাঁদে না, সে বিষয়ে বিজ্ঞানী মহলে তো বিশেষ ধারণা নেই বলেই চলে। সাধারণ ভাবে মনে করা হয় কান্নার সঙ্গে যে চোখের জল পড়ে, চোখের স্বাস্থ্য ভাল রাখতেই তা হয়।    কিন্তু নেদারল্যান্ডের টিলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক অ্যাড ভিঙ্গারহোয়েটস কান্না নিয়ে এক বিরাট বই লিখে ফেলেছেন। আর কেবল মাত্র শারীরিক কারণেই অশ্রুমোচন হয় তা মানেন না উনি।    তাঁর মতে, বিবর্তনের মধ্যে দিয়ে চোখের জল হয়ে উঠেছে এক বিশেষ সাঙ্কেতিক ভাষা।   চোখের জল আর পাঁচ জনকে জানিয়ে দেয় কোনও এক ব্যক্তির মনের অবস্হা। অর্থাৎ, একটিও বাক্য ব্যয় না করেও চোখের জল মনের কথা বলে দেয়। আর অন্যদের মধ্যে যোগায় সমবেদনা, তাদের করে

আমেরিকার নভেল করোনাভাইরাস কিছু বলছে

Image
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে নভেল করোনাভাইরাস একটা বার্তা পঠিয়েছে। তাতে সে দেশের সমাজ সম্পর্কে একটা ছবি আছে। আর আছে কিছু পরামর্শ।   ১৭ এপ্রিল, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিন্স ইউনিভারসিটিএকটি সমীক্ষার রিপোর্ট প্রকাশ করে। তাতে দেখা যায়, সে দেশে কোভিড-১৯-এ আক্রান্তদের মধ্যে কৃষ্ণাঙ্গ, দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলি থেকে আসা অভিবাসী, এশিয় জনগোষ্ঠি ও স্থানীয় রেড ইন্ডিয়ানদের মধ্যে মৃত্যুহার শ্বেতাঙ্গদের তুলনায় উল্লেখযোগ্য ভাবে বেশি।   মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সেন্টার ফর ডিজিস কন্ট্রোলও একই ধরনের অনুপাতহীন পরিসংখ্যানের দিকে ইঙ্গিত করেছে। তাদের হিসেব অনুযায়ী, সে দেশে কৃষ্ণাঙ্গদের জনসংখ্যা ১৩ শতাংশ হলেও নভেল করোনাভাইরাসের আক্রমণে তাঁদের মৃত্যুহার সামগ্রিকের প্রায় ৩৩ শতাংশ।   ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের একটি রিপোর্ট বলছে, কোথাও কোথাও ওই মৃত্যুহার আরও বেশি। যেমন, সে দেশের একটি রাষ্ট্র উইসকনসিন। সেখানকার জনসংখ্যার মাত্র ৬.৭ শতাংশ হলেন কৃষ্ণাঙ্গ মানুষ। কিন্তু কোভিড-১৯-এ যাঁরা মারা গেছেন, তাঁদের ৩৬ শতাংশ হলেন কৃষ্ণাঙ্গ।   আরও দুটি জায়গার কথা উল্লেখ করেছে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক – শেলবি কাউন্টি ও টেনে

পাহাড়ের রাজা তুষার চিতার রাজ্যে বিপদ

Image
পাহাড়ের রাজা বলা হয় তাকে। সমস্ত মধ্য এশিয়ার ভয়ঙ্কর ঠান্ডা আর রুক্ষ পাহাড়ি, বিস্তৃত অঞ্চলকে সে যেন শাসন করে। কিন্তু অসাধারণ দেখতে ধূসর রঙের বিরল এই তুষার চিতাবাঘ বা স্নো লেপার্ডরাও আজ বিপন্ন। কারণ তার বাসস্হান, ওই অত্যন্ত দুর্গম কঠিন প্রাকৃতিক পরিবেশেও, হত্যাকারীরা পৌঁছে যাচ্ছে। এবং রাশিয়া, মঙ্গোলিয়া, কাজাখস্হান ভারত, ভূটান, নেপাল সহ মধ্য এশিয়ার ১২ দেশে এই লেপার্ডদের দেখা যায় বটে কিন্তু তাদের সংখ্যা কমেই চলেছে।   এক তো স্নো লেপার্ডদের আবাসস্হলে গিয়ে স্হানীয় মানুষরা বসত গড়ছে। সেখানকার মুক্তাঞ্চল তাদের গবাদি পশুর চারণভূমি হিসেবেও ব্যবহৃত হচ্ছে। দেখা যাচ্ছে, এই লেপার্ডদের শিকার, মানুষও শিকার করছে। ফলে টান পড়ছে লেপার্ডদের প্রাকৃতিক খাদ্য ভান্ডারে। এখন তাই আইবেক্স, ব্লু-শিপ, মারমট ইত্যাদি তাদের প্রাকৃতিক খাদ্য ছাড়াও স্নো লেপার্ডরা গৃহপালিত ছাগল, ভেড়া, ঘোড়া, ইয়ক ছানা সবই শিকার করে বসছে। যার ফল হচ্ছে একবার স্হানীয় বাসিন্দাদের নাগালে পড়ে গেলে লেপার্ডের মৃত্যু অবধারিত হয়ে উঠছে।   ঘন বড় লোমে ঢাকা প্রায় ৪/৫ ফিট এই স্নো লেপার্ড খুবই শক্তিশালী, লাফাতেও পারে খুব। তার দেহের তিনগুণ

করোনা - কেউ বেশি, কেউ কম কেন

Image
কেউ বেশি, কেউ কম - এমনটা হচ্ছে কেন? কারণ, একটা ঝড় বয়ে যাচ্ছে রোগীদের শরীরে, যার দাপট সমলাতে পারছেন না অনেকেই।   দেখা যাচ্ছে, নভেল করোনাভাইরাসের দ্বারা যারা আক্রান্ত হচ্ছেন, তাঁদের মধ্যে অনেকে অল্পেই পার পেয়ে যাচ্ছেন, আবার অনেককে ভারী মাশুল গুনতে হচ্ছে। কেউ কেউ শরীরে নভেল করোনাভাইরাসকে নিয়ে দিব্বি দিন কাটাচ্ছেন। নিজে টেরও পাচ্ছেন না যে, ওই ভাইরাস তাঁর শরীরে আত্মগোপন করে আছে। আবার অনেকে অসুস্থ হওয়ার কয়েক দিনের মধ্যেই আইসিইউতে চলে যাচ্ছেন। সেখান থেকে সুস্থ হয়ে ওঠার খবর যেমন আসছে, তেমনই   মৃত্যুর খবরও আসছে প্রতিদিন। নভেল করোনার এই বৈষম্যমূলক আচরণ কেন?   মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কোলাম্বিয়া ইউনিভারসিটিতে মেডিসিনের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর সিদ্ধার্থ মুখার্জির মতে, এটাই এই ভাইরাসটির রহস্যময় দিক, যা তাকে এতটা মারাত্মক করে তুলেছে।   সিদ্ধার্থ মুখার্জি শুধু একজন চিকিৎসা বিজ্ঞানীই নন, একজন প্রখ্যাত লেখকও। ক্যানসারের ওপর তাঁর বই ‘এম্পারার অফ অল ম্যালাডিজ ’ তাঁকে পুলিৎজার প্রাইজ এনে দেয়। ‘ইন্ডিয়া টুডে ’ কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে উনি বলেছেন, কোনও রকম জানান না দিয়েই আমাদের মধ্যে বেশ কিছুদ

বাঁদর-খেকো ঈগল

Image
বাঁদর-খেকো ঈগল! হ্যাঁ, ফিলিপিন্স-এ যাকে ১৮৯৬ সালে প্রথম আবিষ্কার করেছিলেন ইংরেজ প্রকৃতি-বিজ্ঞানী জন হোয়াইটহেড।   এবং প্রথম যখন তাকে দেখা যায়, সে বসেছিল তারই শিকার করা বাঁদরের ওপর।   তাই তখনই তাকে ‘মাঙ্কি ইটার’ বা বাঁদর-খেকো নাম দেওয়া হয়। তাকেই ১৯৯৫ সালে ফিলিপিন্সের জাতীয় পাখি হিসেবে ঘোষণা করা হয়। পৃথিবীর তাবৎ শিকারি পাখিদের মধ্যে সে বিরলতম।   ফিলিপিন্সের একদম নিজস্ব এবং বর্তমানে মারাত্মকভাবে বিপন্ন এই ঈগলদের দেখা যায় কেবল সেখানকার লুজান, সামার, লাইট ও মিন্ডানাও, এই চারটি প্রধান দ্বীপে।   অবৈধ কাঠ কাটা এবং বন ধ্বংসের ফলে ফিলিপিন্সের ঈগলরা কোণঠাসা হতে হতে এখন মাত্র ৫০০ তে নেমে এসেছে।     লম্বায় ৩ থেকে সাড়ে ৩ ফিট এই প্রজাতির পেটের দিকটা সাদা। আর রয়েছে ঘন বাদামি রঙের দুটি ডানা। সেই ডানা দুটিও বিশাল, মেললে তার দৈর্ঘ্যই প্রায় ৭ ফিট।   এই ঈগলের ওজন হয় সাড়ে ৪ কেজি থেকে ৮ কেজি। এরাই বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ ঈগল। তাদের বিচরণ ক্ষেত্র একেবারে সমতল থেকে প্রায় ৬০০০ ফিট উঁচু পাহাড়ি বনাঞ্চল।   দেখা গেছে এক একটি দম্পতির এলাকা ৬০ থেকে ১৩০ বর্গ কিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত থাকে। ফিলিপিন্সের জ

ভয়ঙ্কর এক ডজন ভাইরাস

Image
ভাইরাসরা এতই ছোট যে তাদের শরীরই নেই। তারা হল ডিএনএ বা আরএনএ সম্বলিত একটি মলিকিউল মাত্র, যা এক ধরনের প্রোটিনের চাদরে মোড়া থাকে। তারা যে কত ছোট, তার আন্দাজ পেতে হলে কল্পনা করতে হবে একটি ছুঁচের ডগা। সেই ছুঁচের ডগায় এক সঙ্গে গা ঘেঁষাঘেঁষি করে বসতে পারে ৫০ কোটি ভাইরাস। এতটাই ছোট তারা!   তাছাড়া ভাইরাসের আরও একটা বৈশিষ্ট্য হল তাদের নিজস্ব কোনও বাসস্থান নেই। ঘর ভাড়া নেওয়া বা দখল করা ছাড়া উপায় নেই তাদের। অর্থাৎ, অন্য কোনও প্রাণীর কোষের মধ্যে ঢুকতে পারলে তবেই তারা বাঁচে ও বংশবৃদ্ধি করতে পারে। খোলা হাওয়া বেশি ক্ষণ সহ্য হয় না ওদের। মানুষ আর ভাইরাস পৃথিবীতে এক সঙ্গে বাস করছে অনেক কাল। কিন্তু ভাইরাস বলে যে এক রহস্যময় প্রাণী মানুষকে বারবার শয্যাশায়ী করে, তা জানা গেল ১৯০১ সালে।   ‘রয়াল সোসাইটি পাবলিকেশনস-এর ফিলজফিক্যাল ট্রানস্যাকশনস-বি’র এক প্রকাশনা থেকে জানা যাচ্ছে যে, মানুষকে সংক্রমিত করে এমন যে ভাইরাসটি প্রথম আবিষ্কার হয়, সেটি হল ‘ইয়েলো ফিভার’ বা পীত জ্বর সৃষ্টিকারী ভাইরাস। তারপর থেকে প্রতি বছরই দুটো-চারটে করে নতুন ভাইরাস আবিষ্কার হয়েছে। মানুষের মধ্যে সংক্রমণ ঘটায় এমন ২১৯ ভাইরা

শিম্পাঞ্জি কিন্তু ৯৬ শতাংশই মানুষ

Image
শিম্পাঞ্জিরা মানুষের খুব কাছের প্রাণী। তাদের সঙ্গে মানুষের বিস্তর মিল। বিজ্ঞানীরা বলেন মানুষ আর শিম্পাঞ্জির ৯৬ শতাংশ ডিএনএ এক। অর্থাৎ আমরা মানুষরা, ৯৬ ভাগ শিম্পাঞ্জি। আর সেই কারণেই হয়তো জন্মানোর পর শিম্পাঞ্জি আর মানব শিশু যে ভাবে বড় হয় তাতে বিশেষ তফাৎ দেখা যায় না।     মিল লক্ষ করা যায় জন্মের আগে থেকেই। যেমন, মাতৃগর্ভে মানব শিশু সাধারণত থাকে ২৮০ দিন, আর শিম্পাঞ্জি শিশু ২৩০ দিন। জন্মের পর মানব শিশু যতটা অসহায়, এক শিম্পাঞ্জি শাবকও ঠিক ততোটাই। মানুষের মতই, মা-বাবার, বিশেষ করে মায়ের আদর যত্ন না পেলে শিম্পাঞ্জি ছানার বাঁচা দুষ্কর হয়ে ওঠে।   প্রথম ছ’মাস মায়ের গলা জড়িয়ে ঘোরে শিম্পাঞ্জি বাচ্চা, যেমন আমরা শিশুকালে ঘুরি মায়ের কোলে।   ছ’মাস পেরলে তারা ঘোরে মায়ের পিঠে চড়ে। এমন দৃশ্যও তো মানুষের ক্ষেত্রেও দেখা যায় - বাচ্চাকে কাপড় দিয়ে পিঠে বেঁধে নিয়ে চলেছে। কিম্বা মা কাজ করছে কোথাও। উভয় শিশু তখনও নিজের পায়ে ভর দিয়ে হেঁটে চলে বেড়াতে পারে না। দু’বছর বয়স হলে তবেই শিম্পাঞ্জি ছানা মায়ের কোল ছেড়ে মাটিতে খেলতে শুরু করে।   তবে মায়ের খুব কাছাকাছিই থাকে তখনও। তিন বছর বয়স হলে তবেই তা

আলোগুলো নিভিয়ে দাও, আমাদের লাগছে

Image
একটা সময় ছিল - হয়তো বা এখনও আছে - যখন বন্দিদের ওপর নির্যাতন চালানোর ভয়ঙ্কর একটা উপকরণ ছিল আলো।   তীব্র আলোর মধ্যে ঘন্টার পর ঘন্টা তাদের বসিয়ে রাখাই ছিল নির্যাতনের পদ্ধতি।   দিবারাত্রি আলোর ঝলকানি সহ্য করতে না পেরে শারীরিক ভাবে ভেঙ্গে পড়ত অনেকেই।   তারপর চলত স্বীকারোক্তি আদায়ের চেষ্টা।     প্রকৃতির নিয়মেই, আলো আমরা সর্বক্ষণ সহ্য করতে পারি না।   দিনের কয়েকটি ঘন্টা আমরা প্রতিদিন আলো নিভিয়ে অন্ধকারে নির্বিঘ্নে ঘুমিয়ে কাটাতে চাই।   নিশাচরেরা ছাড়া, পৃথিবীর প্রায় সব প্রাণীই তাই চায়।   কারণ, সূর্যোদয় আর সূর্যাস্তের সঙ্গে তাদের দৈনন্দিন জীবনছন্দ বাঁধা।   কিন্তু আমাদের শহরগুলি, যেখানে রাতভোর ঝলমল করে নানা রঙের কৃত্রিম আলো, সেখানে অনেক প্রাণীকেই নিঃশব্দে সহ্য করতে হয় আলোর বিরামহীন নির্যাতন।   শহরবাসীর পক্ষে প্রয়োজনীয় হলেও, রাস্তার আলো, দোকানের বাতি, বিজ্ঞাপনের রকমারি নিয়ন শহরের গাছেদের জীবন একেবারে দুঃসহ করে তুলেছে।   এমনটাই অভিমত কিছু বিজ্ঞানীর।   আর সেই সব গাছেদের সঙ্গে নিপীড়নের শিকার হচ্ছে সেই পাখিরা, যারা ওই   গাছের ডালে বসে ঘুমতে আসে সূর্য ডুবে গিয়ে সন্ধ্যা নামলে।

লকডাউনে হাতি এলো ঝাড়গ্রাম শহরে

Image
লকডাউনের মধ্যে সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের ঝাড়গ্রাম জেলা শহরে এক সন্ধ্যায় একটি বন্য দাঁতাল হাতি হঠাৎই লোকালয়ে ঢুকে পড়ে। জনমানবহীন শব্দহীন রাস্তা যেন তাকে কৌতূহলী করে তুলেছিল। ইতস্তত ঘুরে বেড়ালেও হাতিটি শহরবাসীর কোনও ক্ষতি করেনি। বনকর্মী ও প্রশাসনের সহযোগিতায় হাতিটিকে পুনরায় জঙ্গলে ফেরত পাঠান হয়।   এ অঞ্চলের জঙ্গলমহলে কয়েকটি বন্যহাতি স্থায়ী ভাবে বসবাস করে। এছাড়াও দলমা পাহাড় থেকে খাবারের খোঁজে হাতিরা প্রতি বছরই দলবেঁধে নেমে আসে। এবং জঙ্গলের রাস্তা ধরে পার্শ্ববর্তী রাজ্য পরিক্রমা করে অনেক সময় ঝাড়গ্রাম জেলায় তারা পৌঁছেও যায়। এছাড়াও এ অঞ্চলে মাঝে মাঝেই ওই হাতিরা বম্বে রোড (৬ নম্বর জাতীয় সড়ক) ও খড়গপুর-টাটানগর রেলপথ পারাপার করে। রাত্রে কয়েকবার রেলপথে দ্রুতগতির ট্রেনে তারা কাটাও পড়েছে। সেজন্য বনবিভাগ এ অঞ্চলে হাতির উপস্থিতি নজরে এলেই, রেল কর্তৃপক্ষকে আগাম ট্রেনের গতি নিয়ন্ত্রন করার জন্য সতর্ক করে।   অসলে উন্নয়নমূলক কাজকর্মের জন্য এই এলাকায় যখেচ্ছ ভাবে গাছ কাটা হচ্ছে। ফলে জঙ্গলের ঘনত্ব কমে যাচ্ছে। আমার মতে, হাতিদের প্রিয় কলাগাছ ও আখগাছ যদি প্রচুর পরিমাণে ওই অঞ্চলে লাগান যেত, তাহলে হয়তো ওই

করোনা রুখতে আসছে কুকুর

Image
করোনা পরিষেবায় এবার কুকুরের ডাক পড়েছে।   গন্ধ বিচার করে কুকুর অনেক কিছু জানাতে পারে। যেমন, খুনের রহস্যে সমাধান করতে পুলিশ তো কুকুরের সাহায্য নিয়েই থাকে। লুকিয়ে-রাখা মাদক দ্রব্য বা বোমা বা বিস্ফোরক খুঁজে বার করতে কুকুরের জুড়ি নেই। এমনকি কারও দেহে নিঃশব্দে ক্যানসার বাসা বেঁধেছে কিনা, তারও ইঙ্গিত দিতে পারে কুকুর।   এবার মানুষের শরীরে করোনাভাইরাস আছে কিনা তা শনাক্ত করতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে তাদের। ‘লাইভসায়েন্স ’ আর ‘ওয়াশিংটনপোস্ট ’ জানাচ্ছে যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভেনিয়া ইউনিভারসিটির পশু-চিকিৎসা বিভাগ ‘পেন ভেট ’ এ কাজ শুরু করেছে।   ছ ’ টি ল্যাব্রাডর রিট্রিভারকে ওই প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। জুলাই মাসেই কাজে নামবে তারা, তেমনটাই আশা প্রশিক্ষকদের।   পেনসিলভেনিয়া ইউনিভারসিটির কুকুর বিশেষজ্ঞ সিন্থিয়া এম অট্টো বলেছেন সব ভাইরাসের নিজস্ব গন্ধ থাকে এবং কুকুর তা শনাক্ত করতে সক্ষম। যেমন, ম্যালেরিয়া আর ক্যানসার চিহ্নিত করতে পারে তারা।   আর বিবিসি জানিয়েছে যে, গবেষকরা মনে করছেন, তীব্র ঘ্রাণশক্তির সাহায্যে মানুষের শরীরে করোনাভাইরাস আছে কি নেই, তা জানিয়ে দেবে কুকুর। এ কাজের জ

আমাদের নাক করোনার রাজপথ

Image
আমাদের নাকই ওদের সহজ প্রবেশ পথ। তাই নভেল করোনাভাইরাসকে রুখতে, মাস্ক পরার ওপর এত জোর দেওয়া হচ্ছে।   সাম্প্রতিক গবেষণায় জানা গেছে, মানুষের নাকে আছে এমন দু ধরনের কোষ, যা মানুষের শরীরে প্রবেশ করার চাবিকাঠি হিসেবে ব্যবহার করে নভেল করোনাভাইরাস।   ‘গবলেট’ আর ‘সেলিলিয়েটেড’ বলে কোষ দুটিকে প্রথমই টার্গেট করে ওই ভাইরাস। তাদের কব্জা করতে পারলে, শরীরে অন্দরমহলে প্রবেশ করা সহজ হয়ে যায় তাদের পক্ষে। নাকের ওই দুই কোষে আছে বিশেষ প্রোটিন, যেগুলিকে কাজে লাগায় করোনাভাইরাস। কিন্তু নাক অবধি পৌঁছতে না পারলে, তখন তাদের খুঁজতে হয় অন্য পথ।   ‘নেচার মেডিসিন’ জার্নালে ফ্রান্সের কোত দাজুর ইউনিভারসিটির প্রকাশিত এক গবেষণাপত্র থেকে জানা গেছে এই কথা। এই দুটি প্রোটিনের একটি হল এসিই-২ আর দ্বিতীয়টি টিএমপিআরএসএস-২ (নামটা বেশ খটমট)। নাকে প্রচুর পরিমাণে এই দুই প্রোটিন আছে বলে জানা গেছে। তাই নাকের প্রতিই বেশি আকর্ষণ নভেল করোনাভাইরাসের।   ওই দুই প্রোটিন চোখেও আছে, বলছেন গবেষকরা। ফলে, অসতর্ক হলে, চোখও তাদের প্রবেশদ্বার হয়ে যেতে পারে। তাই হাত না ধুয়ে চোখে হাত দেওয়া, ভাইরাসকে শরীরে ঢোকার জন্য খিড়কি দুয়ার খুল

করোনা কাণ্ড: ইলদের জন্য ভিডিও

Image
যত বারই ‘গার্ডেন ইল’রা বালি থেকে মাথা তুলে তাকায়, তত বারই এক দল মানুষের মুখ দেখতে পায় তারা। অন্তত দু’মাস আগেও তাই হত। এখন আর তা হয় না। এখন আর কেউ আসে না তাদের অ্যাকোয়েরিয়ামের কাছে।   জাপানের টোকিও শহরে তারা থাকে। এখন সেখানে নভেল করোনাভাইরাসের উৎপাত চলছে। তাই মানুষের চলাফেরায় নানা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে সরকার। আর সেই কারণে, গার্ডেন ইলদের দেখতে তাদের অ্যাকোয়েরিয়ামের সামনে ভিড় হয় না এখন।   গার্ডেন ইল হল এক সামুদ্রিক প্রাণী। সাপ নয়, কিন্তু সাপের মত লম্বা। ইল কয়েক ধরনের হয়। এই গার্ডেন ইল তাদের মধ্যে একটি প্রজাতি। তাদের বৈশিষ্ট্য হল, তারা বালির মধ্যে ঢুকে থাকে, আর মাঝে মাঝেই বালি থেকে লম্বা গলা তুলে সব দিক দেখে নেয়। তারা যখন এক সঙ্গে মাথা তোলে, তখন দূর থেকে মনে হয় লম্বা লম্বা ঘাস গজিয়েছে বাগানে। তাই ওদের নাম হয়েছে ‘গার্ডেন’ (বাগান) ইল। টোকিয়োর অ্যাকোয়েরিয়ামে কয়েকটি গার্ডেন ইল আছে বেশ কিছু কাল হল। শহরের একটি বড় আকর্ষণ তারা। তাই, প্রায় প্রতিদিনই, মাথা তুলে তাকালেই তারা দেখত নানা মানুষের মুখ। মানুষের ওই আনাগোনা তাদের ভাল লাগত কিনা জানা নেই। তবে ওই রুটিনেই অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছিল তার