Posts

Showing posts from November, 2020

বদলাচ্ছে কেরলের পরিবেশ, বাড়ছে ময়ূর

Image
  দক্ষিণ ভারতের কেরল রাজ্যে ময়ূর মানুষকে বেশ বিপাকে ফেলেছে। সাধারণত শোনা যায় হাতি, বুনো শুয়োর, হরিণ বা বাঁদরের দল খেতের শস্য খেয়ে চাষির ক্ষতি করে।   কিন্তু জানা যাচ্ছে যে, কেরল ও তামিল নাড়ুর কিছু অংশে, হাতি আর বনের দাঁতাল শুয়োর ছাড়াও এবার শস্য খেতে হানা দিচ্ছে ময়ূর।   একাধিক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে যে, ফসল পাকলেই ময়ূরের ঝাঁক এসে হাজির হচ্ছে আর মনের আনন্দে শস্যদানা খেয়ে, মাঠ ফাঁকা করে চলে যাচ্ছে তারা। আর ফসল খুইয়ে মাথায় হাত দিয়ে বসে থাকছেন চাষি। কেউ কেউ বলছেন চাষবাস করাই ছেড়ে দেবেন। কারণ ময়ূরদের রুখতে কী ব্যবস্থা নেবেন তা বুঝে উঠতে পারছেন না তাঁরা। কিছু কাল হল কেরলে ময়ূরের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে।   এক সময় সেখানে ময়ূর প্রায় দেখাই যেত না। কখনও কখনও দু’একটা চোখে পড়ত, এই যা। চাষিরা তেমনটাই বলেছেন সংবাদ মাধ্যমকে। একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে যে, পাখি বিশারদ সেলিম আলি ময়ূরকে কেরলের পাখির তালিকাতেই রাখেননি। মোঙ্গাবে-তে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৯৩৩ সালে সেলিম আলি কোচিন আর ট্রিভাঙ্কোরে ১৯টি জায়গায় সমীক্ষা করেছিলেন। কিন্তু কোথাও মযূর দেখতে পাননি তিনি। সেলিম আলি যেখান

জিন কাটার কাঁচি আবিষ্কার

Image
এ বছর রসায়নে নোবেল পেলেন দুই মহিলা বিজ্ঞানী   ইমানুয়েল শারপেন্তিয়ের (বাঁ দিকে) ও জেনিফার দৌদনা (ডান দিকে)। এই প্রথম, কোনও একটি বিষয়ে কেবল মহিলা বিজ্ঞানীরাই সম্মানিত হলেন। প্রথম জন হলেন ফরাসি। গবেষণা করেন জার্মানির ম্যাক্‌স প্ল্যাঙ্ক গবেষণা কেন্দ্রে। দ্বিতীয়জন, মার্কিন বিজ্ঞানী, কাজ করেন ইউনিভারসিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া-বার্কলেতে। ২০১২সালে জিন কাটার কাঁচি আবিষ্কার করেছিলেন তাঁরা।   গবেষণা করেছিলেন একসঙ্গে। তাই নোবেল পেলেন দু’জনই। হ্যাঁ, কাঁচি অনেক রকমের হয় - চুল কাটার কাঁচি, গোঁফ কাটার কাঁচি, গাছ কাটার কাঁচি। কিন্তু জিন কাটার অভিনব কাঁচি নিয়ে এলেন তাঁরাই। এ এমনই এক কাঁচি যা দিয়ে জীবাণু থেকে মানুষ, কাটছাঁট করে সবই বদলে ফেলা যায়। পৃথিবীর সব প্রাণী, তা সে অণুজীব, বটবৃক্ষ বা মহামানব, যেই হোক না কেন, তাদের শারীরিক গঠন নির্ধারণ করে তাদের জিন। প্রতিটি কোষের মধ্যে থাকে কয়েক’শ থেকে কয়েক হাজার জিন। আর প্রতিটি জিনের মধ্যে থাকে এক জোড়া লম্বা, একে অপরকে জড়িয়ে থাকা ফিতে। ডিএনএ নামেই সেগুলি পরিচিত এখন। ওই ডিএনএ-র মধ্যে সূক্ষ্ম রাসায়নিক কোডে লেখা থাকে প্রতিটি প্রাণীর দেহের গঠনতন্ত্র।

শিম্পাঞ্জিদেরও সিনিয়র সিটিজেন আছে

Image
  এখন বয়স হয়েছে তাঁদের। তবে চুল তেমন কাঁচা-পাকা নয়। তাই দেখলে মনে হয় না তাঁরা প্রবীণ। কিন্তু চলাফেরা এখন স্লথ। যৌবনের কসরত করার সেই ক্ষমতা আর নেই। কারও আবার দু চারটে দাঁতও খোয়া গেছে। এখন অবসর যাপনের সময়। তাই পুরনো বন্ধুরা দৌড়ঝাঁপ না করে এখন অনেকটা সময় একসঙ্গে রয়েবসে দিন কাটান। জীবনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার তেমন প্রয়োজন নেই আর। তাই গোষ্ঠীপতি হয়ে অন্যের ওপর ছড়ি ঘোরানর বদলে, তাঁরা এখন মিলেমিশে থাকতেই পছন্দ করেন। খাবার নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেন। এক সময় সমাজে কে বড় আর কে ছোট ছিল, সেই ভেদাভেদ ভুলে, একে অপরকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন প্রয়োজন মত। প্রৌঢ়ত্বের সঙ্গে সঙ্গে বন্ধুত্বও গাঢ় হয়। তাঁরা শিম্পাঞ্জি। সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণা পত্র থেকে জানা গেছে যে, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে, শিম্পাঞ্জিদের ব্যবহারে পরিবর্তন লক্ষ করা যায়। প্রায় মানুষের মতোই, সিনিয়র সিটিজেনের চৌকাঠ পেরিয়ে গেলে, জীবনযাপনের ধারাটা অন্য রকম হয়ে যায় শিম্পাঞ্জিদেরও। কুড়ি বছর ধরে সংগ্রহ করা তথ্য বিশ্লেষণ করে, এমনই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন জারিন মাচান্দা। উনি একজন বানর বিশেষজ্ঞ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টাফ্ট ইউনিভারসিটির সঙ্গে যুক্ত। আফ্রিকা

ধনধান্যে ভরা ছিল সিন্ধু সভ্যতা

Image
কথায় বলে ‘ভেতো বাঙালি ’ । অন্তত এক বেলা ভাত না খেলে মনেই হয় না দিনের আহার সম্পূর্ণ হল। আসলে ভাত বাঙালির বড় প্রিয় খাবার। সারা ভারতে, বা ভারতীয় উপমহাদেশেই, ভাত - অর্থাৎ চাল - প্রধান খাদ্যগুলির মধ্যে একটি। চাল এ দেশে নানা ভাবে খাওয়া হয় কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারিকা পর্যন্ত। এত কাল মনে করা হত এ হেন প্রিয় চাল প্রাচীন কালে ভারতে উৎপন্ন হত না। ধারণা ছিল যে বন্য ধানকে চাষযোগ্য করে তুলে তাকে খাওয়ার উপযোগী করে তোলা হয় চিন দেশে।  সে দেশ থেকে নানা পথ ঘুরে চাল আসে ভারতে আজ থেকে ৪০০০ বছর আগে। তারপর ধীরে ধীরে ধান চাষ করতে শেখে এখানকার মানুষ। কিন্তু এখন জানা যাচ্ছে অতীতের কাহিনীটি  ঠিক এ রকম নয়। বরং চিনে যে সময় ধান চাষ হচ্ছিল ভারতের সিন্ধু সভ্যতার মানুষজনও ঠিক সেই সময়ই ধান চাষে ব্যস্ত থাকতেন। প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষণায় তেমনটাই জানা গেছে। যৌথ ভাবে গবেষণা করেছেন ইংল্যান্ডের কেম্ব্রিজও অক্সফোর্ড ইউনিভারসিটি ও ভারতের বেনারস হিন্দু ইউনিভারসিটির বিশেষজ্ঞরা । আজকের উত্তরপ্রদেশের সন্ত কবির জেলায় লাহুরাদেওয়া নামের এক জায়গা আছে। এক সময় সেটি ছিল সিন্ধু সভ্যতার অঙ্গ। সেখানে খনন কাজ চালিয়ে যে প্রাচীন নিদর্শন মিলে

চেরনোবিল - প্রকৃতি হাসছে

Image
  [ প্রকৃতিকে নিজের মতো থাকতে দাও। তাহলেই সে সেরে উঠে নিজের ছন্দে ফিরবে। এমনটা বারবারই দেখা গেছে। বাড়ির পাশের পার্কে। তেজষ্ক্রিয়তায় ঝলসে-যাওয়া চেরনোবিলেও। লকডাউনের ফলে, মানুষের প্রতিদিনকার অত্যাচারের হাত থেকে কিছুটা রেহাই পেয়েছিল প্রকৃতি। গাছপালার চেহারাই বদলে গিয়েছিল। পশু-পাখিরা অনেক বেশি নির্ভয়ে ঘোরাফেরা করছিল। যেন ফিরে-পাওয়া স্বাধীনতা উপভোগ করছিল তারা। পৃথিবীর ডায়েরির কার্যালয়ের কাছেই একটা পার্ক আছে। লকডাউনের দিনগুলিতে সেটির গেটগুলিতে তালা ঝুলত। পার্কে কেউ ঢুকত না। দেখতে দেখতে, পার্কটা ছোট ছোট গাছে ভরে গেল। আমরা যাদের বলি আগাছা, তারা সেখানে মাটি ফুঁড়ে মাথা তুলল। হাঁটার বাঁধানো পথটা চলে গেল ঘাস আর লতাদের দখলে। বুনো ফুল ফুটতে শুরু করল সেই চলার পথের দু’ধারে। নানা ধরনের পোকাদেরও আবির্ভার ঘটল সেখানে – ফড়িং, শুঁয়োপোকা, মৌমাছি, কেঁচো, কেন্নো, পিঁপড়ে ও আরও বেশ কত নাম-না-জানা পতঙ্গ। ফলে, চড়াই, শালিক, দোয়েল, ছাতারে, কাঠঠোকরাদের ভোজন তালিকা লম্বা হতে লাগল দিন দিন। কাঠবেড়ালিদের ছুটোছুটি দৃশ্যতই বেড়ে গেল। জায়গাটা নিরাপদ মনে করে, যত্রতত্র ডিম পাড়ল গিরগিটিরাও। সব মিলিয়ে, একটা খুদে জঙ্গলে পরিণত হয়