Posts

Showing posts from January, 2021

গুবরে পোকার মহাকাশ দর্শন

Image
  গুবরে পোকাদের খুব প্রিয় জিনিস গোবর। তা সে যে গরুর গোবর হতেই হবে তেমন কোনও কথা নেই। গরু, ছাগল, মোষ, বাইসন কিম্বা হাতি, বাঘ, সিংহ, হরিণ, বাঁদর– অর্থাৎ, যে কোনও প্রাণীর বিষ্ঠার সন্ধান পেলেই, মহাউৎসাহে তারা কাজে লেগে পড়ে। সেই বিষ্ঠার বল তৈরি করে, সেটিকে পেছনের পা দিয়ে ঠেলতে ঠেলতে উল্টো দিকে হাঁটা দেয়। বলগুলি তাদের শরীরের তুলনায় কয়েক গুণ বড় হলেও, তাদের কসরতে কোনও ঘাটতি দেখা যায় না। উল্টো দিকে মুখ করে, বলটিকে ঠেলে নিয়ে যেতে থাকে বিপুল উদ্যমে। কিন্তু তারা যে এমনটা করে তা তো জানাই ছিল। নতুন কথা যা জানা গেল তা হল, মালের বোঝা উল্টোদিকে ঠেলতে ঠেলতে গুবরেরা কিন্তু মোটামুটি ‘স্ট্রেট লাইন’ বা সরল রেখা ধরে সোজা চলতে থাকে। ডান দিক, বাঁ দিকে বেঁকে যাওয়া, বা পথ হারিয়ে চক্রাকারে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায় না তাদের। কি করে তা সম্ভব হয়? কালাহরি বা সাহারা মরুভূমিতে, অথবা অকূল সমুদ্রে, কোনও দিক নির্দেশক ছাড়া মানুষ সোজা চলতে পারে না। এমনটাই দেখা গেছে। কিন্তু গুবরেরা পারে কী করে? সোজা পথে চলার জন্য কি তারা কোনও দিকচিহ্ন ব্যবহার করে? এই রহস্য সমাধান করেছেন সুইডেনের লুন্ড ইউনিভারসিটি ও দক্ষিণআফ্রিকার উইটওয়াটারস

ইলেকট্রিক মাশরুমের দেখা মিলল মেঘালয়ে

Image
ব্যাঙের ছাতা বা মাশরুম তো অনেক ধরনের হয়। কোনওটা খাওয়া যায়, তো কেনওটা আবার বিষাক্ত। কোনওটা ঠিক ছাতার মত দেখতে, তো কোনওটা গোল-গোল বোতামের মত। কিন্তু ‘ইলেকট্রিক মাশরুমের’ কথা কি কেউ শুনেছেন? হ্যাঁ, সে রকম মাশরুমও আছে। সেগুলিতে আলো জ্বলে। উত্তর-পূর্ব ভারতের মেঘালয়ের জঙ্গলে দেখা গেছে ওই বিচিত্র মাশরুম। মোঙ্গাবে-ইন্ডিয়া-তেপ্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে যে, ভারতীয় ও চিনা বিজ্ঞানীদের একটি দল ছত্রাক সম্বন্ধে গবেষণা করতে মেঘালয়ের বনেবাদাড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন। সেখানকার জঙ্গলে এত বিচিত্র ধরনের সব ছত্রাক দেখতে পান তাঁরা যে, আশ্চর্য হয়ে যান সেই বৈচিত্র দেখে। কিন্তু তাঁরা জানতেন না যে আরও একটা বড় বিস্ময় অপেক্ষা করছে তাঁদের জন্য। এক দিন গ্রামবাসীরা তাঁদের জিজ্ঞেস করেন, তাঁরা ‘ইলেকট্রিক মাশরুম’ দেখেছেন কি না। প্রশ্নটা তাঁদের অবাক করে। না, সে রকম মাশরুম তো তাঁরা দেখেননি। তাই ইলেকট্রিক মাশরুমের সন্ধানে তাঁরা রওয়ানা দিলেন জয়ন্তিয়া পাহাড়ের উদ্দেশে। সঙ্গে নিলেন একজন স্হানীয় গাইডকে। খাড়াই জয়ন্তীয়া পাহাড়ের বনপথ যাঁর নখদর্পনে। গন্তব্যে যখন তাঁরা পৌঁছলেন, তখন রাত হয়ে গেছে। ঝিরঝিরে বৃষ্টিও নে