শহরে নিশ্চিন্তে ঘুরে বেড়ায় হরিণের পাল
কল্পনা করা যাক, কলকাতা শহরের গড়িয়াহাট, বা শ্যামবাজারের পাঁচমাথার মোড়, কিম্বা বিবাদি বাগ, অথবা নন্দন চত্তর। সেখানে ঝলমলে শীতের দুপুরে, বাড়িঘর, গাড়িঘোড়া, দোকানপাট আর মানুষজনের মাঝে, হরিণে ঘুরে বেড়াচ্ছে। একটা বা দু’টো নয়। বেশ দল বেঁধে, সিং উঁচিয়ে, স্বচ্ছন্দে চরে বেড়াচ্ছে তারা। এমন দৃশ্য তো কেবল কল্পনাই করা যায়। বাস্তবে তো তা গরুর গাছে ওঠার মতোই অসম্ভব। না, জাপানের নারা শহরে গেলে, এ রকম দৃশ্যকে আর অবাস্তব মনে হবে না। কারণ, কর্মব্যস্ত রাস্তায়,আপনাকে পাশ কাটিয়ে হেঁটে চলে যেতে পারে হরিণ । বাজারে, দোকানে, শপিংমলের নীচে, পার্কে হরিণদের আপনি পাবেন সর্বত্র। নারা হল সব অর্থেই একটি আধুনিক জাপানি শহর, যেখানে হরিণদের চলাফেরায় কোনও নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয় না। কারণ, সে শহরে হরিণদের পবিত্র প্রাণী বলে গণ্য করা হয়। আর আইনের বলে রক্ষা করা হয় তাদের। এক সময়, ৭১০ থেকে ৭৯৪ সাল পর্যন্ত, নারা ছিল জাপানের রাজধানী। পরে রাজধানী সরিয়ে নেওয়া হয় কিওটোয়। ফলে নারায় আছে বেশ কিছু প্রাচীন স্হাপত্য আর মন্দির। তেমনই একটি মন্দির হল কাসুগা। প্রচলিত আছে যে, একটি সাদা হরিণের পিঠে চড়ে ভগবান তাকেমিকাজুচি সদ্য স্হাপি