Posts

Showing posts from February, 2021

শহরে নিশ্চিন্তে ঘুরে বেড়ায় হরিণের পাল

Image
  কল্পনা করা যাক, কলকাতা শহরের গড়িয়াহাট, বা শ্যামবাজারের পাঁচমাথার মোড়, কিম্বা বিবাদি বাগ, অথবা নন্দন চত্তর। সেখানে ঝলমলে শীতের দুপুরে, বাড়িঘর, গাড়িঘোড়া, দোকানপাট আর মানুষজনের মাঝে, হরিণে ঘুরে বেড়াচ্ছে। একটা বা দু’টো নয়। বেশ দল বেঁধে, সিং উঁচিয়ে, স্বচ্ছন্দে চরে বেড়াচ্ছে তারা। এমন দৃশ্য তো কেবল কল্পনাই করা যায়। বাস্তবে তো তা গরুর গাছে ওঠার মতোই অসম্ভব। না, জাপানের নারা শহরে গেলে, এ রকম দৃশ্যকে আর অবাস্তব মনে হবে না। কারণ, কর্মব্যস্ত রাস্তায়,আপনাকে পাশ কাটিয়ে হেঁটে চলে যেতে পারে হরিণ । বাজারে, দোকানে, শপিংমলের নীচে, পার্কে হরিণদের আপনি পাবেন সর্বত্র। নারা হল সব অর্থেই একটি আধুনিক জাপানি শহর, যেখানে হরিণদের চলাফেরায় কোনও নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয় না। কারণ, সে শহরে হরিণদের পবিত্র প্রাণী বলে গণ্য করা হয়। আর আইনের বলে রক্ষা করা হয় তাদের। এক সময়, ৭১০ থেকে ৭৯৪ সাল পর্যন্ত, নারা ছিল জাপানের রাজধানী। পরে রাজধানী সরিয়ে নেওয়া হয় কিওটোয়। ফলে নারায় আছে বেশ কিছু প্রাচীন স্হাপত্য আর মন্দির। তেমনই একটি মন্দির হল কাসুগা। প্রচলিত আছে যে, একটি সাদা হরিণের পিঠে চড়ে ভগবান তাকেমিকাজুচি সদ্য স্হাপি

দূষণের অতিমারি ঠেকাবে কে

Image
আমরা কোভিডেও আছি, দূষণেও আছি। ভ্যাকসিন এলে হয়তো কোভিড-১৯ একদিন চলে যাবে। কিন্তু বায়ু দূষণের ভ্যাকসিন কবে আসবে? বায়ু দূষণ ভারতের কতটা ক্ষতি করছে? ক্ষতির পরিমাণটা নেহাত কম নয়।  একটি সমীক্ষা থেকে সম্প্রতি জানা গেছে যে, ২০১৯-এ, সের্ফ বায়ু দূষণের কারণে ভারতে ১৬.৭ লক্ষ মানুষ প্রাণ হারান। কোনও একটি দেশে, বায়ু দূষণের কারণে মৃত্যুর এই সংখ্যাটা হল বিশ্বের সর্বোচ্চ। সেই সঙ্গে অর্থনৈতিক ক্ষতির পরিমাণটা ছিল ৩৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (বা, ২.৬ লক্ষ কোটি টাকা)। দেখা যাচ্ছে, কোভিড-১৯-এর মতই বায়ু দূষণও এক অতিমারি। যা হয়তো কোভিডের চেয়েও মারাত্মক। সমীক্ষাটি করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বস্টন ইউনিভারসিটির  ‘গ্লোবাল অবসারভেটরি অন পলিউশন অ্যান্ড হেল্‌থ, ইন্ডিয়ান কাউনসিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ এবং পাবলিক হেল্‌থ ফাউন্ডেশন অফ ইন্ডিয়া। ‘ল্যানসেট প্ল্যানেটারি হেল্থ’ জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে গবেষণা পত্রটি।   গবেষকরা বলেছেন, অকালে ১৬ লক্ষ মানুষের প্রাণ নিয়ে নিচ্ছে বায়ু দূষণ, যা কোভিড-১৯ সংক্রমণে যত মানুষ এ দেশে মারা গেছেন তার চেয়ে বেশ কয়েক গুণ বেশি। গবষকরা বলেছেন, দূষণের কারণে এই বিপুল সংখ্যক মৃত্যু, ভারতের ভ

বিপদ ঘনাচ্ছে দেবভূমিতে

Image
  জোশীমঠ থেকে তুষারশৃঙ্গ উত্তরাখন্ডের তপোবনে এখন ভয় ও শোকের ছায়া। ৭ ফেব্রুয়ারি ছিল রবিবার। চামোলী জেলার তপোবনে ঋষিগঙ্গা বয়ে যাচ্ছিল নিজের স্বাভাবিক গতিতে। তপোবনে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্মাণ কাজ হচ্ছিল রোজকার মতো। শীতের নিরিবিলি সকালে প্রকৃতি ছিল ফুরফুরে মেজাজে। তারই মধ্যে হঠাৎ শোনা গেল এক বিকট গর্জন। শান্ত নদীটি মুহূর্তের মধ্যে ফুলে-ফেঁপে এক বিকট দৈত্যের আকার ধারণ করে, চারপাশ ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে, ধেয়ে আসে গিরিখাদ দিয়ে। তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পের কর্মীরা কিছু বুঝে ওঠার আগেই, খড়কুটোর মত উড়ে যায় নদী বাঁধ। নিখোঁজ হন প্রায় ২০০ শ্রমিক। পরে ৩০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বাকিদের খোঁজ চলছে। কেন এমন বিপর্যয় ঘটল তা নিয়ে অনুসন্ধান চলছে। বলা হচ্ছে, ৫,৬০০ মিটার (১৮,৪৮০ ফিট) ওপরে, হিমবাহের একটা বড় অংশ ভেঙ্গে নদীতে পড়ে্। ফলে নদীর জল বেড়ে যায়। আবার এও বলা হচ্ছে যে, হিমবাহ যেখানে ভেঙ্গে পড়ে, সেখানে বড় ধরনের ধস নামে। তার ফলে, নদীর প্রবাহ আটকে গিয়ে জল জমতে থাকে। এবং সেই বিপুল পরিমাণ আটকে-যাওয়া জল এক সময় মাটি কাদা পাথরের বাঁধ ভেঙ্গে ভয়ঙ্কর বেগে নীচের দিকে নেমে আসে। তাছাড়া শীতের মরশুমে হিমবাহ কেন ভেঙ্গে পড়ল, তাই

মগজ সুরক্ষায় কমান্ডো মোতায়েন

Image
  মস্তিষ্ককে সুরক্ষিত রাখে বিশেষ প্রশিক্ষণ-প্রাপ্ত এক বাহিনী। বলা হয়, শরীরের ইমিউন সিস্টেম বা রোগ প্রতিরোধী ব্যবস্থার শ্রেষ্ঠ কমান্ডো তারা। এবং সম্প্রতি  ‘সায়েন্স নিউজ’-এ প্রকাশিতএকটি লেখা থেকে জানা গেছে যে, মগজের ওই কমান্ডোদের প্রশিক্ষণ কিন্তু দেওয়া হয় পেটে।    যে কোনও প্রাণীর ক্ষেত্রেই ব্রেন বা মস্তিষ্কই হল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। মস্তিষ্ক যদি ঠিক মতো কাজ না করে বা যদি পুরোপুরি বিকল হয়ে যায়, তাহলে একটি প্রাণীর পক্ষে বেঁচে থাকা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। তাই মস্তিষ্ক যাতে কোনও ধরনের জীবাণুর দ্বারা আক্রান্ত না হয়, তার জন্য প্রকৃতি বিশেষ ব্যবস্থা নিয়ে রেখেছে। মস্তিষ্ককে সুরক্ষিত রাখতে তিন স্তরের এক মেমব্রেন, বা পাতলা রাবারের চাদরের মত এক বস্তু, মুড়ে রাখে সেটিকে। ওই মেমব্রেনটির নাম ‘মেনিনজেস’। শরীরের আরও একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হল আমাদের শিরদাঁড়া। শরীরে যত স্নায়ু আছে, সেগুলিকে ধরে রাখে সেটি। মস্তিষ্কের সব নির্দেশ, শিরদাঁড়ার মধ্যে দিয়ে, স্নায়ুর সুবিস্তৃত জালের মাধ্যমে, পৌঁছে যায় শরীরের সব অঙ্গপ্রত্যঙ্গে। আবার তাদের পাঠানো সব বার্তা স্নায়ুর মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হয়ে, শিরদাঁড়ার