Posts

Showing posts from September, 2020

শুক্রতেও কি প্রাণ আছে

Image
  শুক্র শুক্র গ্রহে কি প্রাণ আছে? মঙ্গল গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব আছে কিনা সে সম্পর্কে জল্পনা-কল্পনা আর অনুসন্ধান যখন চলেছে জোর কদমে, তখন শুক্রর ব্যাপারটা মেঘাচ্ছন্নই ছিল এতদিন। কিন্তু খুব সম্প্রতি শোনা গেল, সেখানেও নাকি প্রাণের অস্তিত্বের ইঙ্গিত মিলেছে । পৃথিবীর খুব কাছের গ্রহ শুক্র। রাতের আকাশে চাঁদের পরেই উজ্জ্বলতম যে হীরের টুকরোটিকে আমরা দেখতে পাই, সেটি শুক্র। সন্ধ্যাতারা নামেই বেশি পরিচিত সে। বলা হয়, শুক্র খুব সুন্দর। আকারে আকৃতিতে পৃথিবীর সঙ্গে তার অনেক মিল। তাই তাকে পৃথিবীর যমজও বলা হয়। পৃথিবীর সবচেয়ে কাছের গ্রহ হলেও, মহাকাশ বিজ্ঞানীরা সেখানে বিশেষ অনুসন্ধান চালাতে পারেননি। কারণ, ঘন মেঘ ঢেকে রাখে শুক্রর বায়ুমণ্ডল। ফলে, সেখানে মহাকাশযান নামানোর কাজটা তেমন সফল হয়নি, যেমনটা হয়েছে আমাদের অন্য প্রতিবেশী, মঙ্গলের ক্ষেত্রে। সেখানে তো একের পর এক গবেষণা যান পাঠানো হচ্ছে। যেগুলি থেকে আসছে ভুরি ভুরি তথ্য আর ছবি। তবে, যে মেঘের কম্বল শুক্রকে রহস্যময় করে রেখেছে, সেই মেঘেই নাকি পাওয়া গেছে এমন কিছু যা, প্রাণের ইঙ্গিত দিচ্ছে ওই গ্রহে। “শুক্রর মেঘে ফসফিনের আভাস পেয়ে স্তম্ভিত হয়ে যাই আমরা,” বলে

গ্রিনল্যান্ডের বরফ গলছে, গলবে

Image
  গ্রিনল্যান্ড নামটা শুনলেই, একটা বরফ-ঢাকা দেশ চোখের সামনে ভেসে ওঠে। না, গ্রিনল্যান্ড কোনও স্বাধীন, সার্বভৌম দেশ নয়। আর্কটিক ও আটলান্টিক মহাসাগরের মাঝখানে, সেটি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় দ্বীপ। তার নিজস্ব সংসদ আছে, কিন্তু গ্রিনল্যান্ড ডেনমার্কের তত্ত্বাবধানে চলে।    গ্রিনল্যান্ডের অবস্থান এমনই এক জায়গায়, যেখানে বছরে দু’ মাস সূর্য ডোবে না। বলা যেতে পারে ২৪ ঘণ্টার বদলে দু’ মাসের একটা লম্বা দিন চলে সেখানে। তারই মধ্যে সেখানকার বাসিন্দারা জাগে, ঘুমোয়। সেখানে লোকসংখ্যায়ও খুব কম। ৬০ হাজারের মত। সেই দ্বীপের প্রায় পুরোটাই বরফে ঢাকা থাকত এক সময়। কোথাও কোথাও বরফের চাদর এখনও চার মাইল পুরু। বরফে ঢাকা একটা জায়গার রঙ প্রধানত সাদা হওয়ার কথা। কিন্তু তার নাম গ্রিনল্যান্ড বা সবুজ দেশ হল কেন, তার পেছনে একটা কাহিনী আছে। নরওয়ের এক অভিযাত্রী ও আবিষ্কারক ৯৮২ সালে, আজ থেকে ১,০৩৮ বছর আগে, গ্রিনল্যান্ডে গিয়ে পৌঁছন। তাঁর নাম এরিক থরভাল্ডসন । কিন্তু তাঁর লাল চুল আর দাড়ির জন্য ‘এরিক দ্য রেড’ বা লাল এরিক নামেই বেশি পরিচিত হন তিনি। বরফে ঢাকা যে জায়গাটি এরিক আবিষ্কার করেন, সেখানে উনি বসতি গড়তে চান। তাই মানুষজনকে

আমরাও কি মহেঞ্জোদারো হতে চলেছি?

Image
  মহেঞ্জোদারো মনে হচ্ছে আমরা সে দিকেই এগোচ্ছি। আমাদের লক্ষ্য যেন মহেঞ্জোদারোই হয়ে ওঠা। এবং এই শতাব্দীর মধ্যেই আমরা যাতে সেখানে পৌঁছে যেতে পারি, তার জন্য আমাদের চেষ্টায় কোনও খামতিও রাখছি না আমরা। সাম্প্রতিক গবেষণার ফলাফল দেখলে তো এমনটাই মনে হয়। আজ থেকে ৪৫০০ বছর আগে মহেঞ্জোদারো ছিল এক বিস্ময় নগরী। সিন্ধু সভ্যতার সেটি ছিল এক উজ্জ্বল জনপদ। শহর হিসেবে মহেঞ্জোদারো ছিল বেশ আধুনিক। সারি সারি বাড়ি, সোজা সোজা রাস্তা, জল সরবরাহের ব্যবস্থা, পয়ঃপ্রণালী, এমনকি স্নানের জন্য ছিল সুন্দর বাঁধান এক জলাশয়। দেখলে মনে হয়, বেশ পরিকল্পনা করেই তৈরি করা হয়ে ছিল সেই শহর। আর ধরে নেওয়া হয়, সেই সুদূর অতীতে যাঁরা ওই উচ্চমানের শহর গড়ে তুলে ছিলেন, তাঁদের জীবনযাত্রাও ছিল বেশ উন্নত। প্রত্নতত্ত্ববিদরা সেখানে কোনও প্রাসাদের হদিস পাননি । তাই মনে করা হয় সেখানে কোনও রাজা-রানী ছিলেন না। শহর পরিচালনা করার ভার সম্ভবত ছিল নগরপালদের ওপর। আর এও মনে করা হয়, তাদের নির্বাচন করত নগরবাসীই। প্রায় ৬০০ বছর ধরে চলেছিল মহেঞ্জোদারোর স্বর্ণযুগ। তারপর এক সময়, সময়ের বালিয়াড়িতে হারিয়ে গেল সেই উন্নত শহর। তাকে হয়ত আর খুঁজেই পাওয়া যেত না, যদি ন

সেল্ফি বলে দেবে আপনার হার্ট, রক্তচাপ কেমন আছে

Image
  মোবাইল ফোন আছে? ‘সেল্ফি’ তোলেন? অভ্যাসটা যদি আপনার নাও থেকে থাকে, দু’একটা না হয় তুলেই ফেলুন।   নিদেন পক্ষে, কি করে তুলতে হয়, তা জেনে রাখুন। কাজে আসবে। ‘ ইয়োরোপিয়ানহার্ট জার্নাল’-এ প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, আপনার সেল্ফিই বলে দেবে আপনার হার্টের অসুখ আছে কিনা।   ছবিটা শুধু মেইল করে পাঠিয়ে দিতে হবে আপনার ডাক্তারবাবুর কাছে। বাকি কাজটা মেশিন করবে।   আপনার মুখ দেখে সে বলে দেবে আপনার হার্ট বা হৃদযন্ত্র কেমন আছে। এই প্রথম দেখা গেল যে, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগিয়ে মানুষের মুখের চেহারা থেকে জানা যাচ্ছে তাদের হার্টের অবস্হা, বলেছেন চিনের গবেষক ঝে ঝেঙ।   উনি সে দেশের একজন প্রথম সারির চিকিৎসা বিজ্ঞানী ও সেখানকার ন্যাশনাল সেন্টার অফ কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজেজ-এর ডিরেক্টর। বিজ্ঞানী ঝে বলেছেন যে, তাঁদের ওই নির্ণয় পদ্ধতিটি আরও উন্নত করতে হবে।   কিন্তু প্রাথমিকভাবে দেখা গেছে কম্পিউটার মুখ দেখে হার্টের অবস্হা সম্পর্কে একটা সঠিক ধরণা করতে পারছে।   এই প্রযুক্তির সুফল হল এই যে, হাসপাতাল বা ক্লিনিকে আসার আগেই একজন রোগীর হার্টের অবস্হা সম্পর্কে জানা যাবে,

সুন্দরবনের জীবাণুরা অ্যান্টিবায়োটিককে ভয় পায় না এখন

Image
  সুন্দরবনের জীবাণুরা কি অমরত্ব লাভ করেছে? গবেষণা থেকে জানা গেছে যে, অ্যান্টিবায়োটিক বা জীবাণু মারার ওষুধ তারা এখন তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিচ্ছে। ওই ধরনের ওষুধ আর তাদের ওপর কাজ করছে না। নিজেদের শরীরে তারা গড়ে তুলেছে অ্যান্টিবায়োটিকের বিরুদ্ধে জোরাল প্রতিরোধ। আরও জানা গেছে যে ভারী ধাতু থেকে বাঁচতে তারা গায়ে জড়িয়ে নিয়েছে এক বিশেষ চাদর। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের জৈব-রসায়নের প্রফেসর মৈত্রী ভট্টাচার্য সুন্দরবনের জীবাণু নিয়ে গবেষণা করছেন। সম্প্রতি সায়েন্স কমিউনিকেটার্স ফোরাম আয়োজিত এক ফেসবুক আলোচনায় প্রফেসর ভট্টাচার্য শোনান সুন্দরবনের জীবাণুদের কথা। রয়াল বেঙ্গল টাইগার সহ ছোট বড় নানা প্রাণী আছে সুন্দরবনে। আছে সেখানকার বিস্ময়কর সুন্দরী গাছ, যাদের শেকড় মাটির গভীরে না গিয়ে এঁটেল মাটির ওপরে মুখ বার করে অক্সিজেন নেয় বাতাস থেকে। এদের সম্পর্কে কিছুটা জানা থাকলেও, সুন্দরবনের জীবাণুদের সম্পর্কে প্রায় কিছুই জানা ছিল না এতদিন। অথচ তারাই প্রাণী জগতকে নিয়ন্ত্রণ করে নানা ভাবে। প্রফেসর ভট্টাচার্য বলেন, বিশ্বের জৈববৈচিত্র সংক্রান্ত এক বিপুল বৈজ্ঞানিক তথ্য ভাণ্ডার বা জিন ব্যাঙ্ক গড়ে উঠেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে।

বাঘের ডেরায় ল্যান্ট্যানার হানা

Image
  ভারতের নানা জায়গায় বাঘের আস্তানাগুলি তাদের দ্বারা আক্রান্ত। চোরা শিকারিদের উৎপাত তো ছিলই। ছিল কল কারখানা, রাস্তাঘাট, কৃষিজমির প্রসার। সেইসঙ্গে শহরের বাড়তে থাকা সীমানা সঙ্কুচিত করছিল বাঘের বাসস্থান। এখন আবার তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে এক নতুন বিপদ – ‘ল্যান্ট্যানা ’ লতা। ক্রান্তীয় আমেরিকার লতা ‘ল্যান্ট্যানা কামারা ’ । সুন্দর, থোকা থোকা ফুল হয় ওই লতানে গাছে। কিন্তু ক্রমশ বিপজ্জনক ভাবে ভারতের জঙ্গলগুলি দখল করতে বসেছে তারা। সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণা পত্র থেকে জানা গেছে যে, ইতিমধ্যেই বাঘেদের বাসস্থানের ৪০ শতাংশ জায়গা ওই গাছ দখল করে নিয়েছে। সে সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন প্রকাশকরেছে ‘মোঙ্গাবে’ । বলা হচ্ছে, গাছটি পৃথিবীর ১০টি অত্যন্ত আগ্রাসী গাছেদের মধ্যে একটি। তারা বেশ নাছোড়বান্দা ধরনের। বংশবৃদ্ধির মাধ্যমে স্থানীয় গাছেদের জায়গা দখল করে নেয় ওরা। শুধু তাই নয়, প্রতিবেদনটি থেকে জানা যাচ্ছে, তারা মাটি থেকে খুব বেশি পরিমাণে রসদ তুলে নেয়। অন্যান্য গাছেরা তাই খাদ্যের অভাবে ভোগে। আর সেই কারণেই কমতে থাকে তাদের সংখ্যাও। সেই জায়গায় নিজের আধিপত্য বিস্তার করে জাঁকিয়ে বসে ল্যান্ট্যানা। এর ফলে যে কেবল স্থানীয়