শরীরকে ত্যাগ করে চলে যায় মাথা
গুপি-বাঘার মনে একবার বেজায় দুশ্চিন্তা ঘনিয়ে উঠে ছিল? ‘মুণ্ডু গেলে খাবটা কী/মুণ্ড গেলে বাঁচব নাকি?’ এমনই এক ঘোরতর চিন্তায় তারা মুষড়ে পড়ে ছিল এক সময়। সত্যিই তো, ধড়ে মুণ্ডটাই যদি না থকে, তা হলে প্রাণটা তো যাবে ঠিকই, কিন্তু তার চেয়েও বড় অফসোসের কথা, হাঁড়ি হাঁড়ি মণ্ডা-মিঠাই যে আর খাওয়াই যাবে না! কিন্তু এমনও তো হতে পারত যে, মুণ্ডগুলি আলাদা হয়ে যাওয়া সত্ত্বেও এদিক ওদিক ভেসে ভেসে পোলাও কালিয়া মণ্ডা-মিঠাই খেয়ে বেড়ানোর ক্ষমতা বজায় থাকত সেগুলির। না, তেমনটা হওয়া মোটেই অসম্ভব ছিল না। ভুতের রাজা তেমন বর দিলে, নিশ্চয়ই তা সম্ভব হত। তাই মনে হয়, ভূতের রাজা বোধহয় তেমনই এক বর দিয়ে ছিলেন সমুদ্রের স্লাগদের। ধড় থেকে মুণ্ড আলাদা হয়ে গেলেও, তাদের খাওয়া দাওয়ায় কোনও কমতি দেখা দেয় না। স্লাগরা হল শামুকের মতো এক প্রাণী। দুয়ের মধ্যে তফাৎটা হলো এই যে, শামুকের একটা খোল থাকে, স্লাগের তা থাকে না। স্লাগ হলো এক বিস্ময়কর প্রাণী। প্রয়োজন বোধ করলে, তারা অনায়াসে তাদের মাথাটা শরীর থেকে আলাদা করে ফেলতে পারে (ছবি)। শরীরটাকে ফেলে দিয়ে মাথাটা দিব্বি চলে ফিরে বেড়ায়। জাপানের নারা উইমেনস ইউনিভারসিটিরগবেষক সায়াকা মিতোহ ও ইয়ো