Posts

Showing posts from August, 2020

উন্নয়নের জেরে হিমালয়ে ধুলোর মেঘ

Image
  বিরোহী: ধুলোর মেঘ বিরোহী: ধুলোর ধোঁয়া উত্তরাখণ্ডের গাড়োয়াল অঞ্চল। সেখানকারই একটি জায়গার নাম বিরোহী ।যেখানে একদিকে পাহাড়ের মধ্যে দিয়ে বয়ে-চলা মন্দাকিনী নদী, আর অন্যদিকে হৃষীকেশ থেকে চামোলী যাওয়ার রাস্তা। তারই মাঝখানে এক নিরিবিলি মনোরম স্থান। এই গাড়োয়াল হিমালয়ের অনেক জায়গাতেই কেন্দ্রীয় সরকারের ‘চার ধাম প্রকল্প’-এ রাস্তা চওড়া করার কাজ চলছে পুরোদমে। তার জন্য রাস্তার ধারের অনেক গাছ কাটা হচ্ছে। ব্লাস্টিং বা ডাইনামাইট দিয়ে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পাহাড় ভাঙ্গা হচ্ছে কিছু দূর অন্তর। আর পাথরের বড় বড় চাঙ্গড় ট্রাক-বোঝাই করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে পাথর ভাঙ্গার খাদানে। সেখানে তৈরি হচ্ছে পাথরের কুচি। যা রাস্তা বড় করার জন্য কাজে লাগানো হচ্ছে। এই বিরোহীতেও সেই কাজ চলছে। সময়টা ছিল নভেম্বর ২০১৯। শোনা গেল, পাথর ভাঙ্গার মেশিন দিনে একটা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য চালানো হয়। কিন্তু যখন সেগুলি চলে, তখন ওই মেশিনের চিমনি থেকে বেরতে থাকে ধুলোর ঘন ধোঁয়া। যা বাতাসে মিশে ‘ধোঁয়াশাচ্ছন্ন ’ করে তোলে চারদিক। ধুলোর ধোঁয়া ঢেকে দেয় পাহাড়ের গাছপালা, নীল আকাশ, নদীর জল। আর মানুষ ও পশুপাখির ফুসফুসে প্রতিদিন, একটু একটু করে জমতে থাকে পাথরের সে

প্লাস্টিকের বর্জ্য দিয়ে তৈরি হচ্ছে বাড়ি, ক্লাসরুম

Image
  ইঁট কাঠ বালি সিমেন্টের বাড়ি না বানিয়ে, প্লাস্টিকের বাড়ি তৈরি করলে কেমন হয়? পৃথিবীতে যত প্লাস্টিকের বর্জ্য সৃস্টি হয় প্রতিদিন, তার খানিকটা কাজে লাগিয়ে ইঁট তৈরি করা যায় না কি? প্লাস্টিকের আবর্জনা এক ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। ফেলে-দেওয়া প্লাস্টিক এখন ছড়িয়ে আছে সর্বত্র – পাহাড়ে, সমুদ্রে, নদী-নালায় চাষের খেতে, প্রাণীদের পেটে। এমনকি মানুষের রক্তেও মিশছে প্লাস্টিকের অতি সূক্ষ্ম কণা। অথচ প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ হওয়ার কোনও লক্ষণ নেই। সেই সঙ্গে বেড়েই চলেছে তার বর্জ্যের পরিমাণ। ফেলে-দেওয়া প্লাস্টিক আবার কিভাবে ব্যবহার করা যায়, তাই নিয়ে চলছে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা। ইতিমধ্যেই প্লাস্টিকের বাড়ি তৈরি করতে শুরু করেছেন হায়দ্রাবাদেরএক দম্পতি – প্রশান্ত লিঙ্গম ও তাঁর স্ত্রী অরুণা। বাড়ি আর ঘরের আসবাবপত্রের ডিজাইন বা নক্সা তৈরি করায় তাঁদের ছিল অনেক দিনের অভিজ্ঞতা। কিন্তু একটা বিশেষ ঘটনা তাঁদের প্লাস্টিকের বাড়ি তৈরি করায় উদ্বুদ্ধ করে। ‘হিন্দুস্থান টাইমস’কে প্রশান্ত বলেন যে তাঁরা একটা ভিডিও দেখেন, যাতে অপারেশন করে একটি গরুর পেট থেকে প্লাস্টিকের আবর্জনা বার করা হচ্ছিল। সেই দৃশ্য, তাঁদের বিচলিত করে। কি

বিশ্বব্যাপী পরিযায়ী মানুষের মধ্যে ভারতীয়রাই শীর্ষে

Image
  মানুষের চলার কোনও শেষ নেই। কেউ কাছেপিঠে যাওয়া-আসা করেন, আবার কেউ যান অনেক দূরে।   এক ঘন্টা, দু ঘন্টা ট্রেনে বা বাসে করে রোজ কাজের জায়গায় যান অনেকে। ফিরেও আসেন একই দিনে।   আবার অনেকে নিজের বাড়িঘর ছেড়ে কাজের সন্ধানে এতই দূরে চলে যান যে, সেখান থেকে চাইলেও আর সহজে ফেরা যায় না। থেকে যেতে হয় সেখানে।   সময় সুযোগ পেলে বা খুব প্রয়োজন হলে, তবেই বাড়ি ফেরা হয়। এঁরাই হলেন অভিবাসী বা পরিযায়ী মানুষ, যাঁরা কাজ করতে যান ভিন দেশে। নভেল করোনাভাইরাসের তাড়নায় লকডাউনের জেরে এমনই বহু পরিযায়ী শ্রমিক কাজ হারিয়ে বাড়ি ফেরেন।   কিছু কিছু ক্ষেত্রে সেই ফেরার চেষ্টার পরিণতি হয় মর্মান্তিক। তবুও ভারতের নানা প্রান্ত থেকে, দেশের নানা দিকে ফিরে যান প্রায় ৮০ লক্ষ পরিযায়ী কর্মী। পৃথিবী জুড়েই পরিযায়ী মানুষের যাওয়া আসা লেগে থাকে। অভিবাসনের ওপর রাষ্ট্রসঙ্ঘের ২০২০ সালেররিপোর্টে বলা হয়েছে যে, ২০১৯ সালে সারা বিশ্বে পরিযায়ী মানুষের সংখ্যা ছিল ২৭২ মিলিয়ন বা ২৭.২ কোটি। পৃথিবীর জনসংখ্যার এটা ৩.৫ শতাংশ। এর থেকে বোঝা যায় যে, বেশিরভাগ মানুষই নিজের ঘরবাড়ি, আত্মীয় পরিজন ছেড়ে অন্য কোথাও চলে যেতে চান না। আবার এই পরিযায়ী

অরণ্য-স্নান: সুস্থ থাকার জাপানি প্রথা

Image
  কিঙ্গ লি শেষ কবে গিয়েছিলেন গাছেদের কাছে? মনে পড়ে কি সেই জায়গাটা, যেখানে গাছেরা দল বেঁধে থাকে। ডালপালা মেলে আলিঙ্গন করে থাকে একে অপরকে। ফুল ফোটে। বুনো ঘাস গজায় তাদের পায়ের চারপাশে। কাঠবেড়ালিরা ছুটোছুটি করে খেলে বেড়ায়। পাখিরা ডাকে নানা সুরে। গিরগিটি গাছে উঠতে গিয়ে একবার ঘাড় ঘুরিয়ে ঢুলুঢুলু চোখে সব দিক দেখে নিয়ে রঙ বদলায়। আপনার নিঃশ্বাস প্রশ্বাসের সঙ্গে মাটি আর ফুলের গন্ধ প্রবেশ করে আপনার শরীরে। শরীর ও মন ভাল রাখতে হলে, গাছেদের কাছে যাওয়া, তাদের সঙ্গে মেলামেশা করা, খুব জরুরি। এ কথা বলেছেন জাপানি বিজ্ঞানী কিঙ্গ লি , যিনি ‘ফরেস্ট বেদিং’ বা ‘অরণ্য-স্নান’ বলে একটি বই লিখেছেন। নিপ্পন মেডিক্যাল স্কুলের সঙ্গেও যুক্ত উনি। অনেক রকমের স্নানের কথা আমরা জানি - ঠাণ্ডা জলে স্নান, গরম জলে স্নান, পুকুরে স্নান, নদীতে স্নান, সমুদ্রে স্নান, বালি-স্নান, পলি-স্নান এমনকী রৌদ্র-স্নান। কিন্তু অরণ্য-স্নান অনেকের কাছেই নতুন ঠেকবে। এই প্রথাটা জাপানের নিজস্ব। কিঙ্গ লি বলেছেন সে দেশে ‘শিনরিন-ইয়োকু’ বলে একটি শব্দবন্ধ আছে। ‘শিনরিন’ শব্দটির মানে হচ্ছে বন বা অরণ্য আর ‘ইয়োকু’র মানে স্নান। ফলে, দুয়ে মিলে হয় ‘অ

ভাঙছে আফ্রিকা, সৃষ্টি হতে চলেছে নতুন সমুদ্র

Image
আফ্রিকার আফার অঞ্চল আফ্রিকা মহাদেশ খুব ধীরে আলগা হচ্ছে।   বা বলা ভাল তার একটি অংশ পরস্পরের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে দূরে সরার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এবং নতুন একটি সমুদ্রের জন্ম হচ্ছে। বিজ্ঞানীরা তেমনটাই দেখতে পাচ্ছেন । সত্যি চমকে ওঠার মতো খবর। না, তবে ৮/১০ বা ৫০ বছরের মধ্যেই তেমনটা ঘটে যাবে না।   বরং তা ঘটতে এখন থেকে সময় লেগে যাবে ৫০ লক্ষ থেকে ১ কোটি বছর। তা লাগুক। অবশ্য তত দিনে মনুষ্য প্রজাতি পৃথিবীর বুকে আর ঘুরে বেড়াবে কিনা জানি না। অন্তত এখনকার চেহারা ও মগজ নিয়ে।     বিজ্ঞানীরা বলছেন, পৃথিবীর অন্যতম উষ্ণ অঞ্চল পূর্ব আফ্রিকার আফার অঞ্চলই হল সেই জায়গা, ঠিক যার ভূগর্ভের অনেক অনেক নীচে টেকটনিক প্লেটগুলি একে অপরের থেকে আলগা হচ্ছে। যার ফলে আফ্রিকা মহাদেশ দু’ টুকরো হবে। আর সেই তলাতেই সমুদ্রের জন্ম হবে। যার একটা প্রমাণ হিসেবে যেন এখন থেকেই বিজ্ঞানীরা দেখছেন সেই ইথিওপিয়ান মরুভূমিতে ৩৫ মাইল দীর্ঘ একটি ফাটল দেখা দিয়েছে।   আফ্রিকা মহাদেশের তলায় টেকটনিক প্লেট নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরেই গবেষণা চলছিল। তবে সম্প্রতি কিছু উপগ্রহ চিত্রের সাহায্যে গবেষকদের কাছে বিষয়টি আরও স্পষ্ট হয়েছে। ব্রিটেনের লিডস বিশ্ববিদ

ভাল কাজের পুরস্কার দেয় বেজিরাও

Image
মানুষের সঙ্গে বেজিদের মিল থাকার কথা নয়। সাপ দেখলেই মানুষ আঁতকে ওঠে। আর বেজিরা তাদের সঙ্গে কুংফু লড়তে যায়। তা হলেও মিল একটা আছে।   ভাল কাজ করলে পুরস্কার মেলে। মনুষ্য সমাজে এমন এক প্রথা চালু আছে। তবে সব সময় যে তা মেনে চলা হয় এমন নয়। তাই হয়তো শাস্ত্রে বলা আছে ফলের আশা কোরো না। কিন্তু ভাল কাজের জন্য পুরস্কার যে কেবল মানুষই দিয়ে থাকে, তা কিন্তু নয়।   বেজি, হ্যাঁ, বেজিরাও ভাল কাজের মর্ম বোঝে আর তার প্রতিদানও দিতে জানে। ইংল্যান্ডের ব্রিস্টলইউনিভার্সিটির এক গবেষণায় এ তথ্য পাওয়া গেছে। গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে ‘প্রোসিডিংস অফ দ্য ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সেস’-এ।   এক ছোট প্রজাতির বেজির ক্রিয়াকলাপের ওপর অনুসন্ধান চালান গবেষক অ্যান্ডি র‌্যাডফোর্ড ও জুলি কেম। তাঁরা দেখতে চেয়েছিলেন যে ওই প্রাণীগুলির মধ্যে পুরস্কার দেওয়ার প্রথা আছে কিনা। দেখা যায়, তা অবশ্যই আছে।   বেজিরা সমাজবদ্ধ জীব। তারা একসঙ্গে মিলেমিশে থাকে। যখন এক দল খাবারের সন্ধানে বেরয় তখন বাকি কিছু বাসা আগলায় আর তার সংলগ্ন এলাকার ওপর নজর রাখে।   কোথাও কিছু সন্দেহজনক চোখে পড়লেই ওই প্রহরীরা বিশেষ ধরনের ডাক ডাকতে থাকে। সেই