Posts

Showing posts from March, 2021

মাছে-ভাতে থাকার দিন কি শেষ হতে চলেছে

Image
  কথায় বলে মাছে ভাতে বাঙালি। কিন্তু বাঙালির কপালে সেই মাছে ভাতে থাকার সুখ আর কদিন জুটবে বলা মুশকিল। এবং ভবিষ্যতে না জোটার সম্ভাবনার বার্তা ইতিমধ্যেই রটেছে। কারণ সাম্প্রতিক একটি রিপোর্ট বলছে মিঠে জলের মাছেদের ৮০ প্রজাতি বিলুপ্ত হয়ে গেছে। আর তার মধ্যে ১৬ প্রজাতিই লুপ্ত হয়েছে গত এক বছরে। গবেষকরা সতর্ক করছেন এই বলে যে, মিঠে জলের মাছের এক তৃতীয়াংশই এখন হুমকির মুখে। আর বাঙালির নির্ভরতাও তো সেই রুই-কাতলা-ট্যাঙরা-পাবদা-কই-পার্শে-ভেকটি ইত্যাদি মিঠে জলের মাছের ওপর। আর শুধু খাদ্য বা রসণাতৃপ্তির জন্যই নয়। জীবিকার কারণেও তো লক্ষ লক্ষ মানুষ এর ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু নদীতে বিপুল দূষণ তাকে প্রায় নর্দমায় পরিণত করেছে। এবং কয়েক কোটি মানুষের চাহিদা মেটাতে নির্বিচারে মাছ ধরা, ও জলাভূমি নষ্ট করায় নিত্য মাছের সংখ্যা কমছে। তার ওপর নদীতে যথেচ্ছ বাঁধ দেওয়ার ফল পরিযায়ী মাছেদের স্বাভাবিক চলাফেরায় বাধা সৃষ্টি হয়েছে। তাতেই দেখা যাচ্ছে বিগত ৫০ বছরে ওই মাছের সংখ্যা এক তৃতীয়াংশ কমে গেছে। এবং ওই সময় কালের মধ্যে ‘মেগা ফিশ’ বা বড় জাতের মাছেরা কমেছে ৯৪%। সেদিক থেকে মাছেদের জগতে যেন একটা বড় বিপর্যই নেমে এসেছে।

কোথায় গেল মঙ্গলের মহাসাগর

Image
  পৃথিবী থেকে ২0.৪ কোটি কিলোমিটার দূরে , মঙ্গলের মাটিতে এখন ঘুরছে মানুষের পাঠানো একটি গাড়ি। নাম ‘পারসিভিয়ারেন্স’। শব্দটির মানে, লেগে থাকা। চেষ্টা করে যাওয়া। ‘হাল ছেড় না, বন্ধু’ - এই বলে নিজেকে উৎসাহ দিয়ে যাওয়ার আর এক নাম পারসিভিয়ারেন্স। শুনসান মঙ্গলে একা একা ঘুরছে পৃথিবী থেকে পাঠানো সেই গবেষণা যান। তার কোনও চালক নেই। তবুও সেটা চলে। এখান থেকে প্রেরিত সংকেতই সেটিকে চালায়। ২০.৪ কোটি কিমি দূর থেকে সঙ্কেত গেলে, সেই যান চলতে শুরু করে। তার টিভি ক্যামেরার চোখ খুলে যায়। শব্দগ্রহণ যন্ত্রের কান খাড়া হয়ে ওঠে। মঙ্গলের মাটিতে সেই গাড়ি এখন ঘুরছে আর ওই গ্রহের মাটিতে রেখে চলেছে তার চাকার দাগ। পারসিভিয়ারেন্স-এর আগেও সেখানে পাঠানো হয়েছে গবেষণা যান। মঙ্গলের অন্যদিকে সেগুলি এখনও সচল আছে। কাজ করছে। তথ্য পাঠিয়ে চলেছে। কিন্তু পারসিভিয়ারেন্সের ক্ষমতা তাদের তুলনায় কিছু বেশি। তার কাছ থেকে ইতিমধ্যেই পাওয়া গেছে মঙ্গলের বেশ কিছু ছবি। মনে হবে আমরা যেন পৃথিবীরই একটা লালচে সংস্করণের ছবি দেখছি। উঁচু নীচু ঢেউ খেলানো, রুক্ষ জমি। ছোট বড় পাথর ছড়িয়ে আছে সর্বত্র। দূরে, দিগন্ত জুড়ে প্রহরীর মত দাঁড়িয়ে আছে পাহাড়ের সারি। তার

কাশ্মীরের বন্যদের বন্ধু আলিয়া মীর

Image
আলিয়া মীর; ছবি: পোস্টকার্ড কাশ্মীর বন্যপ্রাণীরা মাঝে মাঝেই লোকালয়ে চলে আসছে। শুধু লোকালয় বললে কম বলা হয়। তারা চলে আসছে একেবারে শহরের মধ্যে। তেমন ঘটনা মাঝে মাঝেই ঘটছে কাশ্মীরের শ্রীনগর শহরে। গত ডিসেম্বর মাসে, একটি লেপার্ড বা চিতাবাঘ এসে পড়েছিল সেখানে। তাকে শহরে ঘুরে বেড়াতে দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন লোকজন। দল বেঁধে সেটিকে মারতে কোমর বেঁধে নামেন অনেকে। তার ফলে ভয় পেয়ে, প্রাণ বাঁচাতে নানা দিকে ছুটে বেড়ায় চিতাবাঘটি। কিন্তু তার কপাল ভাল যে, সময় মতো খবর পান আলিয়া মীর । বনকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে, চিতাবাঘটিকে নির্ঘাত মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচান আলিয়া। অঙ্কশাস্ত্র নিয়ে পড়াশোনা করেছিলেন শ্রীনগরের ওই মহিলা। কিন্তু প্রাণীদের প্রতি ভালবাসা তাঁকে করে তুলেছে একজন প্রথম সারির পশু উদ্ধারকারী। একদিন একটা প্যাঁচা বেকাদায় আটকে গিয়ে ছিল শ্রীনগরের এক চিনার গাছে। তাকে বাঁচাতে মই ঘাড়ে করে দৌড়ে ছিলেন আলিয়া। প্রাণী উদ্ধার কজে সেটাই তাঁর হাতেখড়ি বলা যায়। প্যাঁচা উদ্ধারের কাজটা তো এক রকম ছিল। কিন্তু একটা বড়, বিশেষ করে ভয়-পাওয়া, চিতাবাঘকে বাগে আনার কাজটা যে আরও বহু গুণ কঠিন, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। বিশেষ করে ডিসেম্বরের শী

বেশি মাংস, বেশি রোগ

Image
  কিছু মানুষ আছেন যাঁরা মাংস ছাড়া খাওয়ার কথা ভাবতেই পারেন না। তাছাড়া, দেখা যাচ্ছে, দেশে দেশে মানুষের অবস্থার উন্নতি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে, মাংস খাওয়ার চলও বাড়ছে। গরু, ছাগল, ভেড়া, শুয়োর, মুর্গি বা হাঁস, কোনও না কোনও প্রাণীর মাংস থাকে তাঁদের আহারের তালিকায়। কিন্তু রোজ নিয়ম করে মাংস খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে মোটেই ভাল নয়। দেখা গেছে, নানা রোগের মূলে রয়েছে প্রতিদিন মাংস খাওয়ার অভ্যাস। এমনটাই বলেছেন, ব্রিটেনের অক্সফোর্ড ইউনিভারসিটির গবেষকরা। রোজ মাংস খাওয়ার ফলে, পেটে ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এই বিপদের কথা আগেই জানা গিয়ে ছিল। এখন জানা গেছে, প্রতিদিন মাংস খেলে, ক্যানসার ছাড়াও আরও ২৫ ধরনের রোগের সম্ভাবনা দেখা দেয়। যেগুলি সারাতে বা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হাসপাতালে বা স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে থেকে থেকেই যেতে হয়। আর পঞ্চব্যঞ্জনের মত পাঁচ রকমের ওষুধ খেয়ে শরীরটাকে কোনওক্রমে সচল রাখার চেষ্টা চালাতে হয় রোজ। দ্য গার্ডিয়ান-এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে যে, গবেষকরা বলেছেন, রোজ নয়, প্রতি সপ্তাহে তিন দিন করে মাংস খেলেই অন্তত ন’ ধরনের রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এর মধ্যে মুর্গি আর হা

দুধে গোলা প্লাস্টিক খাচ্ছে শিশুরা

Image
  মানুষ অনেক কিছু পারে। যেমন, পৃথিবীকে সে প্লাস্টিক দিয়ে মুড়ে ফেলছে প্রায়। সর্বত্র ছড়িয়ে আছে প্লাস্টিকের ছোটবড় টুকর।   তা সে হিমালয়ের পর্বতশৃঙ্গেই হোক বা সমুদ্রের গভীরে বা মেরু অঞ্চলের জমাট বরফে। মানুষ আবার অনেক কিছু এখনও পারে না। যেমন, পৃথিবীকে কী ভাবে প্লাস্টিকমুক্ত করা যায়, তা জানা নেই তার। কিম্বা বলা উচিৎ, উপায়টা জানা থাকলেও, সে পথে হাঁটতে চায় না কেউ। যেমন, সাধারণ বুদ্ধিতে তো মনে হয়, প্লাস্টিকের উৎপাদন যদি আজই বন্ধ করে দেওয়া যায়, তা হলে তো কাল থেকেই পৃথিবীর বুকে প্লাস্টিকের বোঝা আর বাড়ে না।   কিন্তু অসাধারণ বুদ্ধি হয়তো বলে, এই সমস্যা সমাধানের এটা কোনও পথই নয়। তাই প্লাস্টিকের উৎপাদন থামছে না। আর সারা পৃথিবী ঢেকে যাচ্ছে প্লাস্টিকে। এমনকি প্লাস্টিক আমাদের শরীরেও ঢুকছে। আমরা গরু ছাগলের মত প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ চিবিয়ে খাই না ঠিকই, কিন্তু তা সত্ত্বেও প্লাস্টিক আমাদের অজান্তেই আমদের শরীরে প্রবেশ করছে। এমনকি শিশুদের শরীরেও। সম্প্রতি জানা গেছে যে, যে সব প্লাস্টিকের বোতলে শিশুদের দুধ খাওয়ানো হয়, সেই দুধের বোতল থেকে লক্ষ লক্ষ প্লাস্টিকের অনুকণা দুধের সঙ্গে মিশে তাদের শরীরে ঢো