Posts

আমেরিকায় রহস্য বীজ কারা পাঠাচ্ছে

Image
আপনার চিঠির বাক্সে একটা প্লাস্টিকের প্যাকেট দেখে একটু আশ্চর্য হলেন আপনি। তারপর, প্যাকেটটি সেখান থেকে বার করে যা দেখলেন তাতে আপনার বিস্ময় দ্বিগুণ হল। কারণ, আপনাকে কে বা কারা পাঠিয়েছে কিছু গয়না – কানের দুল, হাতের আংটি বা ওই ধরনের কোনও অলঙ্কার। কিন্তু সে রকম কিছু অর্ডার করার কথা তো আপনার মনে পড়ছে না। এবার, কৌতূহল মেটানর জন্য প্যাকেটটি সন্তর্পনে খুলে দেখতে গিয়ে তাজ্জব হয়ে গেলেন আপনি। প্যাকেটের ভেতর অলঙ্কার কই? যা আছে, তা তো একটি ছোট প্যাকেট ভর্তি কিছু বীজ! হ্যাঁ, বীজ। এমন করেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কিছু রাজ্যে অনেক বাড়ির চিঠির বাক্সে এসেছে রহস্যময় বীজ। কিসের বীজ, কারা পাঠাচ্ছে, কেন পাঠাচ্ছে, কিছুই জানা যায়নি এখনও। কারওর কাছে এসেছে ছোট ছোট কালো দানা। কেউ পেয়েছেন লাউয়ের বীজের মত চ্যাপ্টা বড় বীজ। মোট কথা, প্যাকেট-প্রেরিত বীজগুলির বৈচিত্র্য আছে। ব্যাপারটা এমনই রহস্যে ঘেরা যে, মার্কিন কৃষি দফতর সতর্কতা জারি করেছে। তাঁরা বলেছেন, কেউ যেন ভুলেও ওই সব বীজ মাটিতে না ছড়ান। কারণ, আশঙ্কা হল, সেগুলি বিজাতীয়, আগ্রাসী গাছের বীজ হতে পারে। আর সেগুলি থেকে আগ্রাসী গাছ ছড়িয়ে পড়ে ক্ষতি করতে পারে স্থ

স্মুদ হ্যান্ডফিশ আর ফিরবে না - আধুনিক যুগে বিলুপ্ত হল প্রথম মাছ

Image
অতিবিপন্ন স্পটেড হ্যান্ডফিশ আমরা কি এক ঘন্টা নীরবতা পালন করব তাদের জন্য? যারা বিলুপ্ত হয়ে গেল সম্প্রতি। তারা মানে, ‘স্মুদ হ্যান্ডফিশ’ বা মসৃণ-হাতের মাছ। আধুনিক যুগে, এরাই হল প্রথম মাছের প্রজাতি, যারা পৃথিবী থেকে চলে গেল চিরতরে। এই গ্রহে ওই মাছকে আর কোনও দিন দেখা যাবে না। অস্ট্রলিয়ার সমুদ্রের উপকূলে ছিল ওদের বাস। গায়ে ছিট-ছিট দাগ। চোখ দুটো বড় বড়। আর সামনের পাখনাগুলো হাতের মত। তার সাহায্যে তারা যত না সাঁতরে বেড়াত, তার চেয়েও বেশি হেঁটে চলে ঘুরত সমুদ্রের মাটিতে। ২০০ বছর আগেও তাদের সংখ্যা ছিল অনেক। জাল ফেললেই উঠে আসত দু-চারটে। এক ফরাসি প্রকৃতিবিদ, ফ্রাসোয়াঁ পেরঁ, ১৮০০ সালে একটি নমুনা সংগ্রহ করেছিলেন। তারা কেমন প্রাণী ছিল, তা জানার জন্য। ওই নমুনাটিই নাকি এখন একমাত্র সম্বল। বিজ্ঞানের ওয়েবসাইট ‘ফিজ.অরজ’ বলছে ২০০০ সাল থেকে তাদের খোঁজ চলেছিল লাগাতার। ডুবুরিরা বার বার গিয়ে ছিলেন সমুদ্রের গভীরে ওই মসৃণ হাতওয়ালা মাছের সন্ধানে। তাদের বাসস্থান তন্নতন্ন করে খোঁজা হয়েছিল। যত দূর জানা গেছে, তারা খুব ছড়িয়ে থাকত না। কিন্তু একটিরও দেখা পাওয়া যায়নি আর কখনও। আন্তর্জাতিক সংরক্ষণ সংস্থা আইসিইউএন তাদের অত

সংক্রমণ হলে নিজেদের স্যানিটাইজ করে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখে পিঁপড়েরাও

Image
বাড়িতে ঢোকার আগে ওরা নিজেদের পরিষ্কার করে নেয়।   সংক্রমণের হাত থেকে নিজেদের রক্ষা করতে ওরা ব্যবহার করে বিশেষ ধরনের রাসায়নিক পদার্থ।   আর অসুখের আভাস পেলে, সাবধানতা অবলম্বন করতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলে নিয়ম করে। না, মানুষ নয়, ওরা পিঁপড়ে।   ‘সামাজিক দূরত্ব’ বজায় রাখার প্রয়োজনীয়তা মনুষ্য সমাজে এই সবে, নভেল করোনাভাইরাসের হঠাৎ হানাদারির ফলে, আলোচিত হতে শুরু করেছে।   কিন্তু পিপীলিকা সমাজে সংক্রমণের সম্ভাবনা দেখা দিলেই সামাজিক দূরত্ব সৃষ্টি করার নিয়ম চালু আছে ঢের আগে থেকে। ‘ডিস্কভার ম্যাগাজিন’-এ প্রকাশিত এক লেখা থেকে এ কথা জানা গেছে।   লেখিকা সোফি পুটকা বলছেন যে পিঁপড়েরা নিজেদের বাসা সংক্রমণমুক্ত রাখার ব্যাপারে অসীম দক্ষতা অর্জন করেছে।   ফলে, তাঁর কথা অনুযায়ী, তাদের সুবিস্তৃত কলোনি বা বাসায় হাজার হাজার পিঁপড়ে এক সঙ্গে বসবাস করলেও, সেখানে মহামারি প্রায় দেখা যায় না বললেই চলে। ছোঁয়াচে রোগ ছড়াতে পারে, তেমন আভাস পেলেই তারা নিজেদের রক্ষা করার জন্য চটপট জরুরি পদক্ষেপগুলি নিয়ে ফেলে।   তাই অসুখে আক্রান্ত হয়ে হাজারে হাজারে পিঁপড়ে পরলোকগমন করেছে, এমনটা দেখা যায় না। উপরন্তু, গবেষণা বলছ

স্থলের প্রাণী না জলের প্রাণী, কে বেশি বুদ্ধিমান

Image
যে সব শিকারি প্রাণী পৃথিবীর স্থলভাগে থাকে তাদের বুদ্ধি জলজ শিকারিদের থেকে কিছুটা বেশি। এমনই অভিমত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নর্থওয়েস্টার্ন ইউনিভারসিটির গবেষকদের । এমনটা হওয়ার কারণও তাঁরা জানিয়েছেন। তাঁদের মতে, স্হলবাসীদের মাথা খাটাতে হয় বেশি। তাই যুগ যুগ ধরে, মাথা খাটাতে খাটাতে, তাদের বুদ্ধি একটু একটু করে বেড়েছে বিবর্তনের মধ্যে দিয়ে।   কিন্তু স্থলের প্রাণীদের বেশি মাথা খাটাতে হয় কেন? কারণ, সেখানে বাঁচতে হলে অনেক বেশি বাধা অতিক্রম করতে হয়। এক সময় স্থলভূমির অনেকটাই ছিল জঙ্গলে ঢাকা, বা ঘাসের অরণ্য, বা খোলা প্রান্তর। সেই সব পরিবেশে শিকার করতে চোখ-কান সর্বদা খোলা রাখতে হত। শিকার করার ছক কষতে হত ভেবেচিন্তে। যেমন, আলো-আঁধারিতে, গাছের আড়ালে, বড় বড় ঘাসের মধ্যে অথবা উন্মুক্ত প্রান্তরে শিকার ধরার বা শিকার করার পন্থাটি কী হবে, তা মাথা খাটিয়েই বার করতে হত। তাছাড়া কোথাও জমি সমতল, তো কোথাও উঁচু-নীচু, আবার কোথাও প্রতিকূল পর্বত। তারই মধ্যে আছে নদী, নালা, খাল-বিল। অর্থাৎ, স্থলের প্রাণীদের ক্ষেত্রে বাধার যেন কোনও শেষ নেই। আর বাঁচতে হলে সব বাধাকেই অতিক্রম করতে হয়। এবং তা করতে বুদ্ধি লাগে।     সে

পাঁচ বছরে পৌঁছে যাব ৩০ লক্ষ বছর পেছনে

Image
আমরা কি এগোচ্ছি, না পিছোচ্ছি? ‘সভ্য’ মানুষ হল এমন এক প্রজাতি যারা এগোতে এগোতে পিছিয়ে যেতে পারে অনায়াসে । কতটা পিছিয়েছি আমরা ? একশ বছর , দুশো বছর ? অনেকে বলছেন, আমরা আবার মধ্য যুগে ফিরে গেছি । কিন্তু মধ্যযুগ তো এই সেদিনের ফেলে আসা দিন। ওই কটা বছর ফিরে যাওয়া তো নেহাতই ছেলেখেলা । সেই মাইল ফলক কবেই পেরিয়ে গিয়েছি আমরা। সময়ের রথে বসে আমরা তো চলেছি আরও অনেক অনেক দূরের এক অতীতে । আমাদের গন্তব্য খুব দূরেও নেই আর। এখন থেকে আর মাত্র পাঁচটা বছর পরেই , ২০২৫ সালে , আমরা ফিরে যাব ৩০ লক্ষ বছর পেছনে । বিজ্ঞানীরা বলছেন , ৩০ লক্ষ বছর আগে পৃথিবীর বায়ু মন্ডলে যে পরিমাণ কার্বন ডাইঅক্সাইড ছিল , ২০২৫ সালে ঠিক ততটাই বা তারও একটু বেশি পরিমাণ কার্বন ডাইঅক্সাইডে আবার ভরে উঠবে এ গ্রহের বাতাস । তিরিশ লক্ষ বছর আগে যে ধরনের বাতাস সেবন করত সে কালের প্রাণীরা , তেমনি এক অত্যধিক কার্বন ডাইঅক্সাইডে ভারাক্রান্ত বাতাস আমরাও নেব আমাদের শ্বাসপ্রশ্বাসের মধ্যে দিয়ে ।. আমাদের শরীরের ওপর ওই বাড়তি কার্বন ডাইঅক্সাইডের কী প্রভাব পড়বে

এখন বাতাসেও ভাসছে নভেল করোনাভাইরাস

Image
নভেল করোনাভাইরাস সম্পর্কে একটা নতুন কথা জানা গেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) জানিয়েছে যে ওই ভাইরাস বাতাসেও ভেসে বেড়াতে পারে। এর আগে, তাদের এই ক্ষমতা আছে কিনা সে বিষয়ে স্পষ্ট ধরণা ছিল না। কিন্তু সম্প্রতি, এক খোলা চিঠিতে ৩২ দেশের ২৩৯ জন বিজ্ঞানী হু-কে জানিয়েছেন যে, ভাইরাসের এয়ারোসল বা অতি ক্ষুদ্র কণা বাতাসে ভেসে থাকতে পারে, বিশেষ করে বদ্ধ ঘরে, যেখানে হাওয়া চলাচল করে না। আর হাঁচি-কাশি ছাড়াই ওই এয়ারোসল ছড়াতে পারে। জোরে জোরে কথা বললে বা গলা ছেড়ে গান গাইলেও আক্রান্ত ব্যক্তির শরীর থেকে নভেল করোনাভাইরাসের এয়ারোসল বাতাসে মিশতে পারে। আগে জানা গিয়েছিল যে, কেবল হাঁচি-কাশির মাধ্যমে মানুষের মুখ ও নাক থেকে ছিটকে আসা ড্রপ্লেট বা অদৃশ্য জলীয় কণার মাধ্যমেই ছড়ায় ওই ভাইরাস। আর সেই ড্রপ্লেট অন্যের নাক, চোখ, মুখ দিয়ে প্রবেশ করলেই অপর ব্যক্তিও সংক্রমিত হতে পারেন। তাই বার বার মাস্ক পরা আর একে অপরের মধ্যে অন্তত ৬ ফিট দূরত্ব বজায় রাখার ওপর এত জোর দেওয়া হচ্ছে। তাছাড়া হু-র তরফ থেকে এও জানানো হয় যে, ওই ড্রপ্লেট যদি কোনও জিনিসে লেগে যায় আর সেই বস্তু ছুঁয়ে আমরা যদি সেই হাত চোখে, মুখে, নাকে দিয়ে ফেলি, তাহলে সংক্

মাছেরা সব যাচ্ছে কোথায়

Image
কিছু দিন ধরে শোনা যাচ্ছে যে, পৃথিবীর বাজারে মাছের যোগান কমছে। বলা হচ্ছে অতি বেশি মাত্রায় মাছ ধরার ফলে সমুদ্রে মাছ কমে যাচ্ছে।  অর্থাৎ, যত না মাছ জন্মাচ্ছে তার ঢের বেশি ধরা হচ্ছে রোজ। এর ফলে মাছের ভান্ডার যে ক্রমশ খালি হতে থাকবে তাতে আর আশ্চর্যের কী! কিন্তু যা সত্যিই রীতিমত আশ্চর্যর, তা হল যে বিপুল পরিমাণ মাছ ধরা হয় প্রতি বছর তার ১০ শতাংশ ফেলে দেওয়া হয়। ওই ফেলে দেওয়া মাছের ওজন শুনলে স্তম্ভিত হতে হয়। একটি আন্তর্জাতিক সমীক্ষা থেকে জনা যাচ্ছে প্রতি বছর ১০ কোটি টন মাছ ধরা হয় সমুদ্রে। আর তার মধ্যে স্রেফ নিম্নমানের বলে ফেলে দেওয়া হয় এক কোটি টন। আর যখন সে সব মাছ আবর্জনা হিসেবে আবার সমুদ্রে নিক্ষেপ করা হয়, তখন সেগুলির বেশির ভাগই মৃত আর কিছু মৃতপ্রায়। জলে ফিরলেও যাদের আর বাঁচার কোনও সম্ভাবনা থাকে না। এই পাহাড় প্রমাণ অপচয়ের কথা জানিয়েছে রয়টার। ২০০৫ সাল থেকে, ৩০০ গবেষকের সংগ্রহ করা তথ্যের ভিত্তিতে ইউনিভারসিটি অফ ব্রিটিশ কলোম্বিয়া আর ইউনিভারসিটি অফ ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া একটি গবেষণা পত্র প্রকাশ করেছে।  সেটির নাম ‘দ্য সি অ্যারাউন্ড আস’ বা ‘আমাদের চারপাশের সমুদ্র’। তাতেই বলা হয়